বাসস
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০২

রহিম আব্দুর রহিমের নাটক পশুর বয়ান মঞ্চস্থ

ঢাকা, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): পঞ্চদশ জাতীয় শিশু কিশোর ও যুব নাট্যোৎসবের ষষ্ঠদিনে আজ জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে পঞ্চগড় করতোয়া কালেক্টরেট আদর্শ নিকেতনের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে রহিম আব্দুর রহিম রচিত ও নির্দেশিত নাটক পশুর বয়ান। 
নাটকে ওঠে এসেছে, প্রাণ-প্রাণীদের আর্তনাদ। প্রাঞ্জল ভাষায় মনোমুগ্ধকর অভিনয় করে দর্শকদের মাতিয়ে তুলে শিশু শিল্পীরা। চমৎকার গল্পের নাট্যভাব 'প্রকৃতির আলো-বাতাস, নদী-নালা, খাল-বিল, গাছ-পালা, পাহাড়-পর্বত সবাই সবার অবস্থান থেকে নিজেকে শ্রেষ্ঠ এবং রাজা মনে করে অহংকার করে। একসময় এদের মধ্যে কে বড়, কে ছোট এই নিয়ে ভীষণ বাকযুদ্ধ শুরু হয়,পরে দিগন্ত জুড়ে আকাশ তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের মিমাংসা করে এই বলে যে, প্রকৃতির সকল প্রাণ-প্রাণীরা যদি মাটি নামক ভূস্তরকে মা বলে মেনে নেয় এবং এই মায়ের সেবা করে তবে সবাই রাজা হতে পারবে। তার কথা সবাই মেনে নিলে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে। অপরদিকে প্রকৃতির প্রাণ-প্রাণী, গাছ-গাছালি, বন-বাদর মানব সভ্যতার নিষ্ঠুরতায় একের পর এক ধ্বংস হতে থাকে। মানবজাতির হাতে প্রকৃতি পরিবেশের পরিপূরক প্রাণিকূলের নির্মম হত্যা,ধ্বংস যজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রাণিরাজ্যের প্রাণিরা তাদের ক্ষোভ, দুঃখ পশুরাজকে জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে পশুরাজ সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে রায় দেয়,পৃথিবীর মানুষরাই অমানুষ'। নাটকের শ্রেষ্ঠাংশে বিভিন্ন চরিত্রে যারা অভিনয় করে তারা হলো, নবম শ্রেণীর মগ্ন, আবিদুর রহমান, বর্ণ, রুবায়িত, আলভী, মুরছালিন, ইমরান, আলিফ, অষ্টম শ্রেণী'র আল আমিন, সাদ, সপ্তম শ্রেণী'র সাহিক ও ষষ্ঠ শ্রেণীর আহনাফ।
নাটক শেষে আয়োজক কমিটি অভিনেতাদের হাতে সনদ তুলে দেন। 
এবছর পঞ্চগড় থেকে মঞ্চকুঁড়ি পদকে ভূষিত হয়েছে পঞ্চগড় বিদ্রোহী শিশু কিশোর থিয়েটারের মো.নাছিবুর রহমান নাবিল। নাবিল সাত বছর ধরে নাটকের সাথে সম্পৃক্ত। সে দু'দুবার আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে অংশ গ্রহণ করেছে। পশুর বয়ান নাটক সম্পর্কে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট এর চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল খালিদ বীন ওয়ালিদ দিপু বলেন, ‘এধরণের নাটক পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হওয়া জরুরি বলে মনে করি। নাট্যকারের চিন্তা -চেতনার মূল্যায়ন করার ক্ষমতা আমার নেই।তবে নাটকটি এযুগের শ্রেষ্ঠ প্রডাকশন এতে কোন সন্দেহ নেই।"  
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন আয়োজিত এবার উৎসবে দেশের ৬৪জেলার ৯৪টি দলের প্রায়  ১হাজার ১শ ২৮জন শিশু-কিশোর ও যুব নাট্যকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেছে। গত ২৩ ফ্রেবুয়ারি এই উৎসবের উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা.দীপু মনি এমপি।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। বৃহৎ এই উৎসবের সমাপনী পর্দা নামবে আগামী ৩মার্চ রাত ৮টায়।