বাসস
  ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১০

দিনাজপুর ফুলবাড়ীতে শতবর্ষ চৈত্র সংক্রান্তি মেলা উৎসব ॥ পহেলা বৈশাখ নববর্ষ বরণ

দিনাজপুর, ১৪  এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস):  জেলার  ফুলবাড়ী উপজেলায় ঐতিহাসিক শতবর্ষের চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব ও মেলা বসেছে।
গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রাত ১২টা পযন্ত দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের মহদিপুর শিবমন্দির প্রাঙ্গনে সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান  এমপি পৃষ্ঠপোষকতায় এ মেলা বসেছে।
মেলা কমিটির সভাপতি বিশ্বেস্বর সরকার জানান, প্রতিবছর বাংলা সনের চৈত্র মাসের শেষ দিনে বসে এ মেলা। তিনি বলেন, বাবা-দাদার সময় থেকে এ মেলা হয়ে আসছে।
সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ মেলা দর্শনে আসতে থাকে।  রাতে  মেলা প্রাঙ্গন মুখোরিত হয়ে উঠে দর্শনার্থীদের পদচারণায়। মেলা দেখতে আসা জেলার পার্শ্ববর্তী  চিরিরবন্দর উপজেলার  কিসমত লালপুর গ্রামের ৮৫ বছর বয়সী নরেন চন্দ্র রায় বলেন, তিনি ছোট বয়সে তার পিতা মদন চন্দ্র রায়ের হাত ধরে এ মেলায় এসেছেন। এখন তার পিতা গত হয়েছে তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন, মেলাটি এ এলাকার ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি হিসেবে ধরে রেখেছেন । তিনি বয়সে ভারে নুয়ে পড়েছেন, তারপরেও তার নাতি সজলের হাত ধরেই মেলা দেখতে এসেছে । তার মনে পড়েছে সে পূর্বের চৈত্র মাসের শেষ দিনের মেলাগুলোর স্মৃতি কথা। চৈত্র মাসে এ ধরনের মেলা  দেশের মধ্যে কয়টি উপজেলায়  হয়ে থাকে। তারমধ্যে দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলায় এই মেলাটি।
তিনি বলেন, ১৯৩৮ সালে তার জন্ম, ১৯৫৪ সালে ইন্টার্নস পাস করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথমে সহকারী
মেলা কমিটির পক্ষ থেকে ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি   মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বাবুল ও ফুলবাড়ী পৌরসর মেয়র লিটন আহমেদ এই বৈশিষ্ট্য শিক্ষককে ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। তিনি তাদের এই সম্মানকে কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করেন।
এদিকে মেলাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার আত্মীয় স্বজনরা এসেছেন মেলা দেখতে। মেলা দেখতে আসা পূর্ণিমা রানী বলেন, তিনি নীলফামারী শ্বশুর বাড়ী থেকে এসেছেন মেলা দেখতে, এ রকম প্রতিটি বাড়ী বাড়ী আত্মীয় স্বজন এসেছে মেলাকে কেন্দ্র করে।
মেলা কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণপদ বলেন মেলাটি ঠাকুর দর্শনকে কেন্দ্র করে হেেলা এখন মেলায় সব ধর্মের মানুষ আসে সংসারে নিত্য প্রয়োজনীয়  সওদা করতে আসে। তিনি তোর সহযোগীরাসহ মাটির তৈরি বাসন-কোষন ও ও পাঠের তৈরি শিক্ষা সহ অন্যান্য প্রসাধনী  ক্রয়  করে খুবই তৃপ্তি পেয়েছে।
আজ রোববার একই স্থানে নববর্ষ বরণের প্রস্তুতি চলছে। পহেলা বৈশাখ সকালে মেলা প্রাঙ্গনে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পান্তা ভাত ইলিশ মাছ ও টাকি মাছের ভর্তা ও  বাঙালি খাবার   দিয়ে অতিথি বরণ করা হবে।
এরপর ফুলবাড়ী সাংস্কৃতিক গোষ্টির পরিবেশিত  বৈশ্বিকের বৈশাখী গান পরিবেশন কবরে নববর্ষের প্রথম প্রহর উদযাপন করা হবে। নব বর্ষবরণ  বিভিন্ন সংগঠন তাদের নিজস্ব কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
সংগঠনগুলো পক্ষ থেকে পহেলা বৈশাখের প্রথম দিন বিলুপ্ত হয়ে যাও গরুর গাড়ি হাল চাষের লাঙ্গল জোয়াল বাঙ্গালীদের ব্যবহার হারিকীন ও ল্যাম্পসহ বিভিন্ন  উপকরণ প্রদর্শন  করা হবে  । যা নতুন প্রজন্মের লোকজন দেখে বাঙালি সংস্কৃতি উপলব্ধি করতে পারবে।
সব মিলিয়ে চৈতালি শেষবর্ষ   বিদায়   ও পহেলা বৈশাখ বরণ উৎসব নান্দনিক ও মুখরিত   করতে মেলা কমিটির সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছে ।