বাসস
  ১৯ জুন ২০২৪, ১৩:১১
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৪, ১৩:১৬

কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

॥ কামাল আতাতুর্ক মিসেল ॥
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১৯ জুন, ২০২৪ (বাসস) : ঈদের ছুটিতে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেছে কুমিল্লা ও আশপাশের জেলার দর্শনার্থীরা। আজ ঈদুল আযহার তৃতীয় দিন বুধবার কুমিল্লার প্রত্যেকটি বিনোদন কেন্দ্রে সকাল থেকেই বিরুপ আবহওয়ার মধ্যেও দর্শনার্থীরা ভিড় করছে।
ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুমিল্লা আসার জন্য রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এ জেলাকে বেছে নিয়েছেন। তাইতো পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ভ্রমণ পিপাষুরা ছুটে গেছেন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে এগিয়ে থাকা কুমিল্লা দেশ-বিদেশে পর্যটন জেলা হিসেবেও বেশ খ্যাতি রয়েছে। কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী শালবন বিহার, বৌদ্ধমন্দির, রূপবান মুড়া, শালবন বিহারের পাশে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) আড্ডা দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার দর্শনার্থী।
শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী থেকে শুররু করে সব বয়সীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। আনন্দে মেতেছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। বিনোদনে একাকার হয়ে গেছে ধনী-গরীবের ভেদাভেদ। পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে নিয়ে আনন্দ উল্লাসে কেটেছে ভ্রমণ পিপাষুদের।
এছাড়া শহরের বাহিরে ময়নামতি সেনা নিবাস এলাকার রূপসাগর, গোমতি নদীর পাড়ে উপল পার্ক, পালপাড়া ব্রীজ এলাকা, লালমাই লেক লেন, নূরজাহান পার্ক, সদর দক্ষিণের লালবাগ এলাকার ইকোপার্ক ছিল হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারণা।
ভ্রমণে আসা ফারজানা খন্দকার বাসসকে বলেন, এবারের ঈদের ছুটি লম্বা। তাই কোন দিকে না তাকিয়ে ছুটে এসেছি ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকে। স্বামী, সন্তানদের সাথে যুক্ত আছে ননদ ও দেবরাও। বলতে গেলে পুরো পরিবারই চলে এসেছি ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লার কোটবাড়ি ও শালবন বিহার দেখতে। এখানে আসার পর ম্যাজিক প্যারাডাইস ছিল আমাদের অতিরিক্ত আনন্দের কারণ।
ম্যাজিক প্যারাডাইসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুদাব্বির হোসেন নাছির বাসসকে জানান, ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন পর্যকট ছিল চোখে পড়ার মতো। আমাদের এখানে দর্শনার্থীরা সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়ায় আসেও বেশি।
এদিকে ঈদকে ঘিরে কুমিল্লার প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারী। তাতেও বেশি খুশি ভ্রমণ পিপাষুরা।