বাসস
  ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৫০

টেন্ডুলকার ও দ্রাবিড়ে অনুপ্রানীত নিউজিলান্ডের বিশ্বকাপ তারকা রবিন্দ্র

আহমেদাবাদ (ভারত), ৬ অক্টোবর ২০২৩ (বাসস/এএফপি): ম্যাচ সেরা পারফরমেন্সের পর  ভারতের দুই কিংবদন্তী শচিন টেন্ডুলকার  ও রাহুল দ্রাবেড়ের নাম নিলেন নিউজিল্যান্ডের  রাচিন রবীন্দ্র।  ভারতীয় ক্রিকেট আইকন শচিন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়ের ফুটেজ দেখেই অনুপ্রানীত হয়েছেন বলে জানালেন তিনি। 
রাহুলের ‘রা’ এবং শচিনের ‘চিন’ শব্দ নিয়ে ক্রিকেট ভক্ত  বাবা এই কিউই তারকার নাম রেখেছিলেন রাচিন। রবীন্দ্র তার ওই নামের প্রথম অংশের মাধ্যমে দারুন ভাবে বাঁচিয়ে রাখলেন ভারতের এই দুই ক্রিকেট কিংবদন্তীকে।  
গতকাল আহমেদাবাদে বিশ^কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ডেভন কনওয়ের সঙ্গে ২৭৩ রানের জুটি গড়ে তোলেন রবীন্দ্র (অপরাজিত ১২৩)। যার সুবাদে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারায় নিউজিল্যান্ড।
২৩ বছর বয়সি রবীন্দ্রর  বাবা-মা ভারতের দক্ষিনাঞ্চলীয়  শহর ব্যাঙ্গালুরু থেকে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন। আহমেদাবাদে  সতীর্থ কনওয়ের সেঞ্চুরির পর শতক গড়েন তাদের ওই সন্তান। ৯৬ বলের ইনিংসে ১১টি চার এবং পাঁচটি ছয় হাকিয়ে সেঞ্চুরি পুরণের মাধ্যমে তিনি প্রমান করেছেন যে দ্রাবিড় ও শচিন দ্বারা কতটা অনুপ্রানীত।
নিউজিল্যান্ডের ওই ব্যাটার বলেন,‘ আমার মতে এ দুজন ছিলেন মাত্রারিক্ত  বিশেষ  ক্রিকেটার। অবশ্যই আমি তাদের নিয়ে অনেক গল্প শুনেছি। সেই সঙ্গে প্রচুর ফুটেজ দেখেছি। আমার ধারনা আমার বাবা-মা এবং তাদের পুরনো স্কুল ভারতীয় ওই ক্রিকেটারদের দ্বারা দারুন ভাবে প্রভাবিত ছিলেন। অনেক বেশি  ফুটেজ দেখে শচিন অবশ্যই আমার আইডল বনে গেছেন। আসলে বাঁহাতি হিসেবে আমি ব্রায়ান লারা এবং কুমার সাঙ্গাকারাকেও ভালবাসি।’
ওয়েলিংটনে জন্মগ্রন করা রবীন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন,‘ সেঞ্চুরি সব সময়ই বিশেষ কিছু। তবে ভারতের মাটিতে এমন পারফর্মেন্স করতে পারাটা আরো চমৎকার। কারণ শিকড়টা যে ভারতে। এখানে আমার বাবা-মাকে দেখেও ভালো লগেছে। তারা নিউজিল্যান্ড থেকে উড়ে এসেছেন। অবশ্য ভারত সফর সব সময় ভালো লাগে। যখন ব্যাঙ্গালুরুতে এসে থাকি এবং দাদা-দাদিকে দেখতে পাই, তখন পারিবারিক একটি টান অনুভুত হয়।’
উল্লেখ্য চলতি বছর মার্চে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষিক্ত হবার পর মাত্র ১৩ টি ম্যাচ খেলেই দারুন ছাপ ফেলেছেন রবীন্দ্র্র ।