বাসস
  ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:২৭
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৫৭

লক্ষ্ণৌর মাঠ কিছুটা অপরিচিত হলেও অস্ট্রেলিয়া পুরোপুরি প্রস্তুত : ম্যাক্সওয়েল

নয়া দিল্লি, ১১ অক্টোবর ২০২৩ (বাসস) : বিশ্বকাপে  লক্ষ্ণৌর একানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৭ সালে এই স্টেডিয়ামটি নির্মিত হলেও বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে এখানে নতুন করে ঘাস লাগানো হয়েছে। যে কারনে অপরিচিত সার্ফেস হলেও  দলের অলরাউন্ডার ম্যাক্সওয়েল  বলেছেন অস্ট্রেলিয়া কালকের ম্যাচের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ে ভারতীয় স্পিনারদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু লক্ষ্ণৌতে কন্ডিশন যাই হোক না কেন পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চায় জায়ান্ট অস্ট্রেলিয়া। 
এ বছর আইপিএল’র পর একানা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের পুরো সার্ফেস উঠিয়ে নতুন করে প্রতিস্থাপন করা হয়। জানুয়ারিতে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার লো স্কোরিং টি-টোয়েন্টি  ম্যাচের পর তৎকালীন কিউরেটরকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। নতুন মাঠ স্পিন সহায়ক হবে বলেই ধারনা করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত বিশ্বকাপের কোন মাঠেই প্রত্যাশা অনুযায়ী পিচের ধরন দেখা যায়নি। 
ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘এই পিচটি আমাদের কাছে অজানা। পুরো মাঠের ঘাস উঠিয়ে আইপিএল’র পর আবারো তা নতুন করে লাগানো হয়েছে।  টি-টোয়েন্টি  ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে সমস্যায় পড়েছিল স্বাগতিক ভারত।  কিউইদের বিপক্ষে মাত্র ৯০ রান তাড়া করতে গিয়ে তাদের ঘাম ঝড়ে গিয়েছিল। ঐ বিষয়টি মাথা রেখে একটি কথাই বলা যায় পুরো মাঠের সাথে সাথে আমরাও নতুন ভাবে শুরু করতে যাচ্ছি। নতুন ম্যাচ, নতুন দিনের শুরুটা কেমন হয় তা সময়ই বলে দিবে। আগামী কয়েকটি ম্যাচে আমাদের সামনে যে কন্ডিশনই আসুক না কেন আমরা প্রস্তুত আছি। টানা দুই ম্যাচ এখানেই আমাদের খেলতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। কারন প্রথম ম্যাচেই আমরা পিচ সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাবো।’ 
চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে স্পিনাররা ধারাবাহিক সাফল্য পায়নি। কিছু কিছু ডেলিভারী উইকেট পাশ কাটিয়ে গেছে। তবে ম্যাচটি যে কঠিন হবে তা আগে থেকেই অনুমেয় ছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের কারনে বল গ্রিপ করতেও সমস্যা হচ্ছিল। ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘যখন কেউ ভারতে খেলতে আসবে তখন ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের মোকাবেলা করতে হবে। কোন জায়গায় হয়তোবা একেবারেই ফ্ল্যাট উইকেট, কোথাওবা আবার ড্রাই উইকেট যেখানে বল বেশী টার্ন করে। আমি মনে করি অনুশীলনে আমাদের এই বিষয়গুলোর প্রতি যত্নশীল হতে হবে। চ্যালেঞ্জ যাই আসুক তা মোকাবেলার করার মত মানসিকতা থাকতে হবে।’
ভারতের বিপক্ষে এ্যাডাম জাম্পার তুলনায় ম্যাক্সওয়েলের বোলিংয়ে উপর বেশী ভরসা করেছিলে অস্ট্রেলিয়ান অধিানয়ক প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার দুই স্পিনারের মধ্যে তিনি বেশী ইকোনোমিক্যাল ছিলেন। বিরাট কোহলি ও কে এল রাহুল এই দুই স্পিনারকেই বেশী সতকর্তার সাথে খেলেছেন। 
ম্যাক্সওয়েল বলেন, কোন দলে ডান-হাতি ব্যাটারের সংখ্যা বেশী থাকলে আমি বোলিং করতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বাঁহাতিদের বিপক্ষে পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টে যায়। ওয়ানডেতে বাঁহাতিদের বিপক্ষে বোলিং করলে উইকেট পাবার সম্ভাবনা বেশী থাকে। কিন্তু ডান হাতি ব্যাটারদের জন্য মাঠের একদিক একেবারে বন্ধ করে দিতে হয়।’
পায়ের হাড়ে চিড় ধরায় ম্যাক্সওয়েলের বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। বিশ্বকাপে মত বড় আসরের চাপ সামলে নিজেকে দলের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ স্পিনার এ্যাস্টন আগার শেষ পর্যন্ত দলে আসতে না পারায় ম্যাক্সওয়েলের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ এমন একটি টুর্ণামেন্ট এখানে পিছনে ফিরে তাকানোর কোন সুযোগ নেই। টুর্ণামেন্ট শুরুর আগে শতভাগ ফিট হবার বিষয়টি আগে নিশ্চিত করেছি।’
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারনে ভারতের বিপক্ষে খেলতে না পারা মার্কাস স্টোয়নিস কালকের ম্যাচে দলে ফিরতে পারেন। আইপিএল’এ লক্ষ্ণৌর সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতাই তাকে এগিয়ে রেখেছে। ক্যামেরন গ্রীন কিংবা যেকোন একজন পেসারের পরিবর্তে স্টোয়নিসের দলের ফেরার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।  
চেন্নাইয়ে গ্রীন ২০ বলে ৮ রান করেছিলেন। এ বছর ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ১৬.১৬। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে ব্যাট হাতে ফর্মহীনতায় ভুগছেন স্টোয়নিস। ২৭ ইনিংসে এ পর্যন্ত তার ব্যাটিং গড় ১৬.৮০।