বাসস
  ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৫১

প্রচন্ড ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে হাজারো আফগানকে

নায়েব রাফি, আফগানিস্তান, ১১ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে যারা বেঁচে গেছেন তাদের জন্যে অপেক্ষা করছে আরেক মরণপণ লড়াই। তা হলো গৃহহীন অবস্থায় প্রচন্ড ঠান্ডা মোকাবেলা করা। 
হেরাত অঞ্চলে শনিবারের ভূমিকম্পে দু’হাজার ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে দেশটির দুর্যোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। 
জাতিসংঘ মঙ্গলবার বলেছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ১৭শ’ পরিবারের ১২ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 
জেন্দা জান জেলার ১১টি গ্রাম একেবারে মাটির সাথে মিশে গেছে। এখানকার বাড়িঘর শতভাগ ধসে গেছে। 
নায়েব রাফি গ্রামের জারিনের পরিবারের ১১ সদস্য প্রাণ হারিয়েছে। জারিন বলেছেন, সাহায্যের তাঁবু দিয়ে শীত মোকাবেলা সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেছেন, সরকার আমাদের সরিয়ে না নিলে কিংবা সাহায্য না করলে আমরা এখানেই আটকে থাকব।
তবে ২০২১ সালে রাষ্ট্র ক্ষমত্য়া ফিরে আসা তালেবান সরকারের পক্ষে দুর্গতদের জন্যে বড়ো ধরনের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর সাথে তালেবান সরকারের তেমন ভালো সম্পর্ক নেই। 
মা’সহ ১২ আত্মীয়কে হারানো ৪০ বছরের মোহাম্মদ নাঈম বলেছেন, একটি বাড়িও অবশিষ্ট নেই। একটি রুমও নেই যেখানে আমরা রাতে থাকতে পারি।
এদিকে ‘ডক্টরস উইদাউট বডার্স’ বলেছে, হেরাত নগরীর হাসপাতাল থেকে যেসব আহতকে চিকিৎসা শেষে ছাড়া হচ্ছে তারা নতুন সমস্যায় পড়ছে। 
দাতব্য সংস্থাটি বলছে, গতকাল ৩৪০ জনেরও বেশি রোগীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা যাচ্ছে না। কারণ তাদের কোন ঘর নেই। 
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে প্রায়ই ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এবারের এ ভূমিকম্প গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। 
এদিকে বুধবার ভোরে স্থানীয় সময় ৫টা ১০ মিনিটে হেরাতে আবারো ভূমিকম্প আঘাহানে। এতে কমপক্ষে ১শ’ লোক আহত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩ ভাগ।