বাসস
  ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৮

বিদ্রোহী হামলার পর দামেস্ককে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করবে ইরান

ঢাকা, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বিদ্রোহী হামলার পর ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক আব্বাস আরাঘচি সমর্থনের বার্তা দিতে রোববার দামেস্কে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সাথে সাক্ষাত করেছেন। রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বলেছে, বিদ্রোহী হামলার পর সিরিয়ার দ্বিতীয় শহর আলেপ্পো সরকারি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।

তেহরান থেকে এএফপি জানায়, ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় থেকে  আসাদের এক কট্টর মিত্র  তেহরান। ইরান দাবি করে, সিরিয়ায় তাদের যোদ্ধা সৈন্য নেই,  তবে সেখানে তাদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারি সামরিক কর্মকর্তা রয়েছে। লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপ বছরের পর বছর ধরে সিরিয়া সরকারের পক্ষে লড়াই করে আসছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানায়, আরাঘচি ও আসাদ ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।’ তবে এ সম্পর্কিত কোনো বিশদ বিবরণ দেয়নি।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আসাদ ‘বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী হামলার মোকাবিলায় মিত্র ও বন্ধুদের সমর্থনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।

ইরনা এর আগে জানায়, দামেস্কের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে আরাঘচি বলেন, তেহরান ‘সিরীয় সরকার ও  সেনাবাহিনীকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করবে।’

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, শনিবার বিদ্রোহীরা আলেপ্পোর বিমানবন্দর ও আশেপাশের কয়েক ডজন শহর দখল করে নিয়েছে।

মনিটর প্রধান রামি আবদেল রহমান এএফপিকে বলেন, রোববার পর্যন্ত, জিহাদি হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গ্রুপ ও সহযোগী দলগুলো কুর্দি বাহিনী  নিয়ন্ত্রিত আশেপাশের এলাকাগুলো ব্যতীত আলেপ্পো শহরের বাকী অংশ দখল করে নিয়েছে।

আরাঘচি এ বিদ্রোহী হামলাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের চক্রান্ত  অভিহিত করে বলেন, সিরিয়ার সেনাবাহিনী অতীতের মতো আবারও এই সন্ত্রাসী  গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে জয়লাভ করবে।

ইরানের এক সংবাদ সংস্থা জানায়, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের একজন জেনারেল বৃহস্পতিবার সিরিয় যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। শনিবার, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আলেপ্পোতে তাদের কনস্যুলেট হামলার শিকার হয়েছে, তবে কর্মীরা নিরাপদে আছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়েল বাঘাই বলেন, দামেস্কের পর আঙ্কারা সফর করবেন আরাঘচি।

২০২০ সাল থেকে, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব অঞ্চলের বিদ্রোহী ছিটমহলটি তুর্কি ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির অধীন ছিল যা বারবার লঙ্ঘন সত্ত্বেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বহাল ছিল। তবে, আলেপ্পোর বিরুদ্ধে বুধবার বিদ্রোহীদের এক আকস্মিক হামলা যুদ্ধবিরতি ভেঙে দেয়। একই দিনে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রতিবেশী লেবাননে একটি দুর্বল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

দামেস্ক সরকার ২০১৫ সালে তার রাশিয়ান ও ইরানি মিত্রদের সমর্থনে সিরিয়ার একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে এবং ২০১৬ সালে আলেপ্পো শহরটি পুনরুদ্ধার করে।