শিরোনাম
ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ প্লান্ট বিকল হওয়ায় দেশব্যাপী সৃষ্ট বিদ্যুৎ বিভ্রাট কাটিয়ে ওঠার লক্ষে নগদ অর্থের সংকটে পড়া কিউবা বুধবার দেশটির বিদ্যুৎ গ্রিড সচল করার জন্য লড়াই করে।
কিউবার মধ্যাঞ্চলের আন্তোনিও গুতেরেস তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডেপুটি টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রোমান পেরেজ কাস্তানেদাকে উদ্ধৃত করে হাভানা থেকে এএফপি জানায়, সমস্যার সমাধান করা হয়েছে, তবে দেশের বেশির ভাগ এলাকা এখনও অন্ধকারে রয়েছে।
সরকারি গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে পেরেজ কাস্তানেদা বলেন, গুতেরেস প্ল্যান্ট বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পাওে বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, জনসংখ্যার ২২ শতাংশ, বিশেষ করে হাসপাতালগুলো জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পেতে সক্ষম হয় তবে বাকিরা বিচ্ছিন্ন ছিল।
১০ মিলিয়ন জনসংখ্যার কমিউনিস্ট-শাসিত দ্বীপে দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তৃতীয়বারের মত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হয়। দু’টি হারিকেনের প্রভাবে বারবার দেশটিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কট ফিরিয়ে এনেছে।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে, দেশটিতে চার দিনের একটি বিশাল বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে রাজধানী হাভানায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। সেই বিভ্রাটের কারণ ছিল বুধবারের মতোই কিউবার আটটি প্রাচীন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় গুতেরেস প্ল্যান্টটি বিকল হওয়া।
নভেম্বরের শুরুতে হারিকেন রাফায়েল দ্বীপে আঘাত হানার আগে, দেশের বেশিরভাগ অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা হয়, তবে পরের সপ্তাহে সাড়া দেশ আবার গ্রিড থেকে ছিটকে পড়ে।
জ্বালানি মন্ত্রী ভিসেন্টে দে লা ও লেভি এক্স-এ বলেন, গুতেরেস প্ল্যান্টটি স্ব^য়ংক্রিয়ভাবে ভেঙে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় যে প্ল্যান্টগুলো চালু ছিল এগুলোর কোনও ক্ষতি হয়নি। জ্বালানি মন্ত্রণালয় সর্বশেষ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের হার কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। সিস্টেমের একটি ‘বৃহৎ শতাংশ’ বুধবারের শেষ নাগাদ ব্যাক আপ এবং চালু হবে।
হাভানার স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে। অপ্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় পরিষেবাগুলো বুধবার স্থগিত করা হয়। আপাতদৃষ্টে কিউবানদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হতাশা পরিলক্ষিত হচ্ছে।