বাসস
  ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৫

ফ্রান্সের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান খুঁজছেন ম্যাক্রোঁ

ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার মুখে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজছেন।

প্যারিস থেকে এএফপি জানায়, আইন প্রণেতারা বুধবার মাত্র তিন মাস ক্ষমতায় থাকার পর বার্নিয়ারের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ভোট দিয়ে, কঠোর বামপন্থীদের প্রস্তাবিত একটি অনাস্থা প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। প্রস্তাবটি  মেরিন  লে পেনের নেতৃত্বের কট্টর ডানপন্থীরাওজোরালো সমর্থন দিয়েছে।

এই গ্রীষ্মে অন্তর্বর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচনের পরে বার্নিয়ারের দ্রুত  উত্থান হয়। দেশের পরবর্তী জাতীয় বাজেট পাস করানো নিয়ে এক সংকট জটিল হয়ে উঠলে, এক পর্যায়ে বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব তোলেন। ৫৭৭ জন এমপির মধ্যে ৩৩১ জন তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে ভেঙে পড়ে সরকার। ১৯৬২ সালে চার্লস দ্য গল প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন জর্জেস পম্পিডোর সরকারের পরাজয়ের পর, ছয় দশকেরও বেশি সময় পর এটিই প্রথম সফল অনাস্থা ভোট।

প্রেসিডেন্টের মেয়াদের দুই বছরেরও বেশি সময় বাকি রয়েছে ম্যাক্রোঁর। তার ওপর বর্তমানে একজন কার্যকর উত্তরসূরি বাছাই করার দায়িত্ব বর্তেছে। তবে কিছু বিরোধী তাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে।

কট্টর-বাম ফ্রান্স আনবোড (এলএফআই) দলের সংসদীয় উপদলের প্রধান ম্যাথিল্ড প্যানোট, গভীরতর রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য প্রাথমিক  প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন,‘আমরা এখন ম্যাক্রোঁকে যেতে আহ্বান জানাচ্ছি।’লে পেন এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, তার দল একবার নতুন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হলে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য বাজেট তৈরি করতে সহায়তা করবে।

২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ম্যাক্রোঁর অধীনে কাজ করা পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বার্নিয়ার। বেশ কয়েকটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ম্যাক্রোঁ দ্রুত নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের চিন্তা করছেন।

সৌদি আরবে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করার পর ভোটের ঠিক আগে ম্যাক্রোঁ প্যারিসে ফিরে যান। প্যারিসে অবতরণের পর তিনি সরাসরি এলিসি প্রাসাদে চলে যান। ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানায়, অতীতে সময় নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা ছাড়া তার আর ‘কোন বিকল্প নেই।’

প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রার্থী কম, তবে অনুগত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু ও ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী মিত্র ফ্রাঁসোয়া বায়রু সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী।