বাসস
  ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:০৬

বিদ্রোহীদের এগিয়ে আসার আশঙ্কায় সিরিয়ার হোমস ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ইসলামপন্থী গ্রুপ হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর বিদ্রোহীদের অগ্রসর হওয়া অব্যাহত থাকার আশঙ্কায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের  সংখ্যালঘু শিয়া আলাভি মতানুসারীসহ হাজার হাজার মানুষ বৃহস্পতিবার সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম নগরী হোমস থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। এক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক বৃহস্পতিবার এ খবর জানান।

লেবাননের বৈরুত থেকে এএফপি জানায়, হামার দক্ষিণে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হোমস নগরীটি বৃহস্পতিবার বিদ্রোহীরা দখল করে নেয়।

ইসলামপন্থী গ্রুপ হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতৃত্বে যোদ্ধারা নগরীর দামেস্ক ও ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত আলাভি মতানুসারীদের কেন্দ্রস্থলের এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলের দিকে অগ্রসর হবে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।

ব্রিটেন-ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা, সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, ‘হোমসের আশপাশের এলাকা থেকে আলাভিদের ব্যাপক বিতাড়ন ও বিদ্রোহীদের অগ্রগতির ভয়ে হাজার হাজার মানুষ সিরিয়ার উপকূলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।’

নগরীর উপকণ্ঠে বসবাসকারী খালেদ এএফপিকে বলেন, ‘উপকূলীয় তারতুস নগরীর দিকে তাদের যাত্রার সড়কটি শত শত গাড়ির আলোয় ঝলমল করছিল।’

২০১৪ সালের এপ্রিলে, হোমসে আলাভি-প্রধান এলাকাকে লক্ষ্য করে দুটি হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক।

আল-কায়েদার সিরিয়ান শাখা আল-নুসরা ফ্রন্ট এই হামলার দায় স্বীকার করে নেয়। বর্তমানে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জাওলানি দলটির নেতা ছিলেন।

২০১৬ সালে জাওলানি জিহাদিদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা ঘোষণা দেন এবং পরের বছর আল-নুসরা দলটি বিলুপ্ত করা হয়। আল-নুসরার মূল ভাবনা নিয়ে গঠিত হয় এইচটিএস।
আলাভি-প্রধান এলাকায় বসবাসকারী ৩৭ বছর বয়সী হায়দার টেলিফোনে এএফপিকে বলেন,  বর্তমানে হোমস আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত ভীত-সন্ত্রস্ত, জানি না এক ঘণ্টার মধ্যে কী ঘটতে চলেছে।

তিনি তার বাবা-মাকে তারতুসে পাঠাতে পারলেও গাড়ির অত্যন্ত সংকট থাকায় তার স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখনো পর্যন্ত কোনো গাড়ি যোগাড় করতে পারেননি।

তিনি জানান, একটি গাড়ি পেলে তারা যত দ্রুত সম্ভব তারতুসের পথে রওয়ানা দেবেন। সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর নগরী তারতুসে আসাদের মিত্র রাশিয়া পরিচালিত একটি নৌঘাঁটি রয়েছে।  ১৩ বছরের যুদ্ধের পরও নগরীটি নিরাপদ রয়েছে।