শিরোনাম
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ বুধবার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের কার্যালয়ে সামরিক আইন ঘোষণার বিষয় তদন্তের জন্য অভিযান চালায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে বুধবার এএফপি এ খবর জানায় ।
এএফপিকে পুলিশের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, একটি বিশেষ তদন্ত দল প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ অভিযানে ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সি, সিউল মেট্রোপলিটন পুলিশ এজেন্সি, এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সিকিউরিটি সার্ভিস অংশ গ্রহন করে।
বেসামরিক শাসনের স্বল্পকালীন স্থগিতাদেশের পর তদন্তের অংশ হিসাবে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছেন।
প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউনকে বিদ্রোহের সময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে জড়িত থাকা এবং অধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়ার জন্য দায়িত্বের অপব্যবহারের অভিযোগে মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার ইয়োনহাপ জানিয়েছে যে গ্রেপ্তারের আগে কিম ইয়ং-হিউনকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেন যে, আলামত ধ্বংস হতে পারে এমন উদ্বেগের মধ্যে কিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোরিয়ান ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির কমিশনার জেনারেল চো জি-হো এবং কিম সিউল মেট্রোপলিটন পুলিশ এজেন্সির প্রধান বং-সিককেও বুধবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে বুধবার এএফপি এ খবর জানায় ।
ইউন বলেন যে তার সামরিক আইনের ঘোষণার উদ্দেশ্য ছিল, আংশিকভাবে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্টদের হুমকি থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করা, জনগণের স্বাধীনতা এবং সুখ লুণ্ঠনকারী রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান নির্মূল করা।