বাসস
  ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৫৭

আল-আকসা আগ্রাসনের জবাব দেবে ফিলিস্তিনি: হামাস

বৈরুত, ৭ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ বৃহস্পতিবার বলেছেন, জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে ফিলিস্তিনিরা তাদের অস্ত্র বন্ধ করে বসে থাকবে না।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে লেবানন থেকে রকেট ছোড়ার জন্য ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ওপর দোষারোপ করার পর বৈরুত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
ইসরায়েল রকেট হামলার সামরিক প্রতিক্রিয়ার হুমকি দেয়ায় হানিয়াহ একদিন আগে লেবাননের রাজধানীতে এসে বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি সংস্থার অন্যান্য  প্রধানদের সাথে  দেখা করেন।  
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে হানিয়াহ বলেন, আল-আকসার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ‘বর্বর আগ্রাসনের’ মুখে আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণ এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো চুপ করে বসে থাকবে না।’ খবর এএফপি’র।
ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদের ভিতরে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের একদিন পর ইহুদি পাসওভারের ছুটিতে  লেবানন থেকে ৩৪টি রকেট নিক্ষেপ করার জন্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোকে অভিযুক্ত করেছে ইসরায়েল।
জেরুজালেমের সহিংসতা নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ব্যাপক নিন্দাবাদ জানায়। বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
হানিয়াহ তার বিবৃতিতে, সমস্ত ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোকে তাদের পদমর্যাদা একত্রিত করতে এবং ইহুদিবাদী দখলদারিত্বের (ইসরায়েল) বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ জোরদার করার আহ্বান জানান।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র  লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট বলেছেন, রকেট ব্যারেজের জন্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো দায়ী।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে জানি এটি ফিলিস্তিনিদের হামলা।’ তিনি বলেন, ‘এটি হামাস হতে পারে, এটি ইসলামী জিহাদ হতে পারে, তবে এটি হিজবুল্লাহ ছিল না। আমরা এখনও চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছি।’
শিয়া জঙ্গি গোষ্ঠী কার্যকরভাবে দক্ষিণ লেবানন নিয়ন্ত্রণ করে এবং গাজা উপত্যকায় শাসনকারী হামাস ও ছিটমহল ভিত্তিক ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের সাথে ভাল সম্পর্ক উপভোগ করে।