বাসস
  ১৩ আগস্ট ২০২৩, ২১:৫০

দুর্ঘটনা রোধ ও সড়কের শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন : শাজাহান খান, এমপি

ঢাকা, ১৩ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, এমপি বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এবং সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। 
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে ‘সড়ক দুর্ঘটনায় চালকের দায় কতটুকু’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বেঠকে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
গোল টেবিল বৈঠকে সড়ক দুর্ঘটনায় চালকের দায় কতটুকু মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী। 
শাজাহান খান আরো বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকের দোষারোপের সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে। অন্যথায় সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং একটি টেকসই প্রতিকার সম্ভব নয়। দেশের আর্থ সামাজিক এবং কাঠামোগত উন্নয়নের প্রেক্ষিতে দেশের জনসংখ্যা ও যানবাহনের সংখ্যার অনুপাতে দুর্ঘটনার অনেক কমেছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। 
মূল প্রবন্ধে ওসমান আলী বলেন, দেশের প্রায় ৪৩  লাখের বেশি যানবাহনে প্রায় ৭০ লাখ শ্রমিক পরিবহণ সেক্টরে কাজ করে। পরিবহণ সেক্টরের টেকসই উন্নয়নে করতে ১৮ দফা প্রস্তাবনা পেশ করে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। এজন্য গণমাধ্যম বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৬তম বৈঠকে সিদ্ধান্তের আলোকে প্রণীত ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা অংশ নেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দিন খান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)’র দিল্লি অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমদ, বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা রাজেকুজ্জামান রতন ও চৌধুরী আশিকুল আলম, লেবার রাইটস সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, রোড সেইফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে ট্রাফিক রুলস সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। শ্রমিকদের অনেক দাবিই সরকার পূরণ করেছে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। পরিবহন সেক্টরে সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ সড়ক সৃষ্টি করতে সকলের সমন্বয় প্রয়োজন। বাস্তবতা আর আবেগ মিলেই কাজ করতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে  নারীদেরকে  এই সেক্টরে আরো বেশি যুক্ত করতে হবে।