শিরোনাম
নয়াদিল্লি, ১৫ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতীয় শোক দিবস ও বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
মিশনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও সংগ্রামের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের অন্য সদস্য- যাঁরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রাতে শাহাদাত বরণ করেন তাঁদের রুহের মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে ১৫ আগস্টের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য কয়েকজনের বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাৎ বরণ করেন। এই হত্যাকা-কে জাতির ইতিহাসের জঘন্য অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করা হয়।
চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।
পরে মুস্তাফিজুর রহমান কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিশন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়া হাইকমিশনার ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা’র (বাসস) দিল্লি প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম মির্জা বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর হাই কমিশনের কর্মচারী ও কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু হলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও সংগ্রামের ওপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ আলোচনায় অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু মানুষের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হতে নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানান।
প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় তুলে ধরে সর্বক্ষেত্রে মহান এই নেতাকে অনুসরণ করার আহ্বান জানান।