বাসস
  ১৭ আগস্ট ২০২৩, ২০:২৯

অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার প্লস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে 'মাল্টিসেক্টোরাল একশন প্ল্যান ফর সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করছে। অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রয়, মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, এনজিও, প্রাইভেট সেক্টর, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সকলকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
শাহাব উদ্দিন আজ প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত ও তৎসংলগ্ন হোটেল মোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন আইটেম পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ‘ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল’ ব্যবহার হ্রাস, ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুন:চক্রায়ন নিশ্চিত এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এছাড়া এক্সেন্ডেড প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটি বাস্তবায়নে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলে একসঙ্গে কাজ করলে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সফল হওয়া যাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, এনজিও, ব্যবসায়ী সংগঠন ও ফার্মের প্রতিনিধিরা পাঁচটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্লাস্টিক দূষণ রোধে করণীয় বিষয় চিহ্নিত করেন এবং উপস্থাপন করেন।