বাসস
  ১৭ আগস্ট ২০২৩, ২২:২১

দীর্ঘ ৩১ বছর বাঙ্গালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি : আমির হোসেন আমু

ঢাকা, ১৭ অগাস্ট, ২০২৩ (বাসস) : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, দীর্ঘ ৩১ বছর বাঙ্গালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হলে বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে লোক যেত না।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে' এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম।
আমির হোসেন আমু আরো বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাত্রিতে এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত পূর্ণতা পেয়েছিল।
এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, "জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। তার সন্তান তারেক রহমান আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় নেপথ্যের সকল কুশীলবদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, "যে কমিশন করা হবে সেই কমিশনের মাধ্যমে খুনি জিয়াউর রহমান, খুনি মোস্তাকসহ নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল তাদের সকলের মুখোশ উন্মোচন করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে এবং যারা ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মরণোত্তর বিচার সম্পূর্ণ করতে হবে।"
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বিগত সময়ে বিএনপির বিভিন্ন কর্মকান্ডের তথ্যচিত্র তুলে ধরে বলেন, খুনি জিয়াউর রহমান সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডে নেপথ্যের প্রধান কুশীলব। "জিয়াউর রহমানের সকল কর্মকান্ডই ছিল প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধী। তিনি রাজাকার, আল বদর, আল শামসদের পুনর্বাসন করেছেন। তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের রক্ত রঞ্জিত পতাকা উঠিয়ে দিয়েছেন। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন, হত্যা করেছেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঢাকা-৫ এর কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সংরক্ষিত আসনের জিন্নাতুল বাকিয়া এবং করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।