শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): বাাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি সাজাপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে হস্তান্তর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঠিক জানি না কেন, কার নির্দেশে এবং কী উদ্দেশ্যে তারা (মার্কিন) তাকে (রাশেদ চৌধুরী) ফিরিয়ে দিচ্ছে না।’
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জঙ্গি সংগঠন জেএমবি কর্তৃক দেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র প্রবলভাবে সোচ্চার এবং বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে, কিন্তু জাতির পিতার হত্যাকারীকে যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় দিলে বাংলাদেশিদের কষ্ট লাগে এবং হতাশ করে।
সরকার জানতে পেরেছে যে, বঙ্গবন্ধুর দুই সাজাপ্রাপ্ত পলাতক খুনি- রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরী যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অবস্থান করছে। এছাড়া অন্য তিন পলাতক- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম এবং মোসলেহউদ্দিন খানের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এখনও পলাতক। আমরা দু’জনের কথা জানি, একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং আরেকজন কানাডায়। অন্য তিন পলাতক আসামির অবস্থান এখনো জানা যায়নি।’
দুই খুনির অবস্থান জানার পর এই দুই পলাতক খুনিকে ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় মার্কিন ও কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে।
মোমেন বলেন, পলাতক খুনিদের ধরতে অভিযানের অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশের সব মিশনকে চিঠি দিয়েছে।
মোট ১২ জন বরখাস্তকৃত সামরিক অফিসারকে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পরে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। ছয় জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে এবং একজন বিদেশে স্বাভাবিকভাবে মারা গেছে।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ছয় ঘাতকের মধ্যে তিনজনকে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারের পর তিনটি দেশ- থাইল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।