শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়ন করতে হলে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
শুক্রবার বিকেল রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন বনাম ধর্মের নামে রাজনীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সহসাধারণ সম্পাদক শহীদ সন্তান অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আরমা দত্ত এমপি, শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আবৃত্তিশিল্পী মো. শওকত আলী প্রমুখ।
মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ধর্মের নামে রাজনীতি চলে আসছে সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই। পাকিস্তান আমলেও আমরা একশ্রেণীর মানুষকে দেখেছি যারা ইসলামের নামে রাজনীতি করেছে। বঙ্গবন্ধু ধর্মের নামে রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। কারণ বঙ্গবন্ধু জানতেন ধর্মান্ধরা রাজনীতিতে ধর্মকে শুধু অপব্যবহারই করে। এরা ধর্ম ব্যবসায়ী। অখন্ড ভারতবর্ষে যখনই দাঙ্গা হয়েছে তখনই বঙ্গবন্ধু দাঙ্গাবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ’৭২-এর সংবিধানে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন গণমানুষের মুক্তি। জামায়াতে ইসলামী এদেশে ধর্মের নামে রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। তাদের শিকড় অনেক গভীরে। তাদেরকে উপড়ে ফেলার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির বলেন, জেনারেল জিয়া যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ভিখারী বানিয়েছিল সেখানে বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন করেছেন। দেশের এই সংকটকালে মুক্তিযোদ্ধাদেরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনকে কেন্দ্র করে ’৭১-এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের সহযোগীরা বিএনপির ছত্রছায়ায় নির্বাচন বানচালের জন্য বহুমাত্রিক তৎপরতা চালাচ্ছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে সারা দেশে তারা যে আগুন সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছিল এবারও তার পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্র তৈরি করছে। তাদের প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।