বাসস
  ২০ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৪৪

শেখ হাসিনা পশ্চিমা শক্তির চোখ রাঙানিতে মাথা নত করবেন না: হানিফ

কুষ্টিয়া, ২০ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): পশ্চিমা শক্তিধর রাষ্ট্র গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ এর  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
আজ রোববার সকালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, পশ্চিমা শক্তিধর রাষ্ট্র তাদের ক্ষমতা জাহির করার জন্য, তাদের নিয়ন্ত্রণের আজ্ঞাবহ সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, মিশরকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশে তাদের চোখ পড়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে তারা ছিনিমিনি খেলতে চায়। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তার শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্ত আছে। তিনি এই পশ্চিমা শক্তির চোখ রাঙানিতে, ধমকে মাথা নত করার মত মানুষ নন, তিনি সেটা প্রমাণ করেছেন।
পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে যারা আমাদের সবক দেন, গণতন্ত্র শিখাচ্ছেন, মানবতার সবক দিচ্ছেন তাদের কাছে জিজ্ঞাসা কোথায় ছিল আপনাদের মানবতা যখন পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবারের নারী, শিশুসহ হত্যা করা হয়েছিল। তখন তো মানবতা চোখে পড়েনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর নিষ্ঠুরভাবে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের যখন নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করেছিল। নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে মানুষ হত্যা করেছিল। তখন কোথায় ছিল মানবতা। তখন তো কিছু বলেননি আপনারা।
হানিফ বলেন, ক্ষমতার মালিক এদেশের জনগণ। জনগণ যতদিন শেখ হাসিনার সাথে আছে ততদিন আওয়ামী লীগ সরকারকে কেউ ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। যে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ সরকারের সাথে থাকে সেই সরকারের পতন ঘটানো যায় না। দুর্নীতিবাজ, এতিমের টাকা আত্মসাতকারী খালেদা জিয়া আর খুনি সন্ত্রাসী তারেক রহমান লন্ডনে বসে লবিস্ট নিয়োগ করে স্বপ্ন দেখছেন ক্ষমতায় আসবেন। ক্ষমতায় আসা এত সহজ নয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মূল নেপথ্যে ছিলেন জিয়াউর রহমান এমন মন্তব্য করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় যারা আত্মস্বীকৃত খুনি তারা ছিল ভাড়াটে। এই হত্যাকান্ডের মূল কুশীলব ছিল জিয়াউর রহমান। আত্মস্বীকৃত খুনিদের কাঠগড়ায় দাঁড় করালে মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যাবে এজন্য তারা ইনডেমনিটি জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করেছিল। আমরা বারবার দাবি করেছি আজকের এ সভা থেকেও দাবি করে যাচ্ছি, জাতি জানতে চায় এই হত্যাকান্ডের মূল কুশীলব কারা ছিল। অতি দ্রুত তদন্ত কমিশন গঠন করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের ইবি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ও আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা, ইবির উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম, ইবি শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিন. ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিক আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় প্রমুখ।
এর আগে মাহবুব উল আলম হানিফ নেতাকর্মীদের নিয়ে ইবি চত্ত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর‌্যালে শ্রদ্ধা জানান।