শিরোনাম
ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলেও বাঙালি কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায়নি। হয়ত তারা সেদিন স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। সেদিন যদি বাঙালি জাতি সঠিক নেতৃত্ব পেত, তাহলে খুনিরা ১৫ সেকেন্ডও টিকতে পারতো না।
তিনি বলেন, সেদিন যাদের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত ছিল, যারা নেতৃত্ব দিলে মানুষ রাস্তায় নেমে যেতো, তারা বাঙালি জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এটি অস্বীকার করার কিছু নেই।
আজ রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা সেদিন খুনি মোশতাকের সঙ্গে গিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিল, শুধু তারাই যদি সেদিন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে না যেত, তাহলেই খুনিরা টিকতে পারেতো না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। কারণ তিনি বাঙালির বন্ধু ছিলেন। বাঙালিকে তাদের অধিকার ও স্বাধিকার সম্বন্ধে শিখিয়েছেন। তাদের জন্য সারাজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন এবং প্রথমবারের মত স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাঁর সারা জীবনের চিন্তা-ধারা ও আদর্শ তিনি সংবিধানে সন্নিবেশ করে গেছেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার কাজ নিম্ন আদালতে শেষ হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তাই আইনের শাসনের যে প্রক্রিয়া সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে। যতদূর জানি, এখন হাইকোর্ট বিভাগে এই মামলার আপিল শুনানি চলছে। আশা করি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির কাজ শেষ হবে।
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক উম্মে কুলসুম, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, মো. শাহিনুর ইসলাম, ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, কাজী আরিফুজ্জামান ও শেখ গোলাম মাহবুব সহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকা-ের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।