বাসস
  ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১৯:২১

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিভিল সোসাইটি কমিশনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনএনআরসিকে অনুমতি

ঢাকা, ২৭ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : বিশ্ব স্বাস্থ্যের বর্তমান অগ্রগতিকে আরো বেগবান করতে নাগরিক সমাজের সংস্থাগুলোর ভূমিকা শক্তিশালী করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিভিল সোসাইটি কমিশনে অংশগ্রহণকারী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) কে অনুমতি প্রদান করেছে।
জাতিসংঘ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) সিভিল সোসাইটি কমিশনের স্টিয়ারিং কমিটি এই অনুমতি প্রদান করে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়, এ পর্যন্ত ৩৫০টিরও বেশি সংস্থা কমিশনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করার জন্য আবেদন করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্তগৃহীত ১২০টি সংস্থাকে অবহিত করা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে এই কমিশনের কাজ শুরু হয়েছে, নাগরিক সমাজের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মহাপরিচালকের পরামর্শও গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও বিশ^ সাস্থ্য সংস্থার সাথে জড়িত থাকার মাধ্যমে আরো ভালো এবং অর্থপূর্ণ উপায়গুলি অন্বেষণ করা এবং সঠিক পদ্ধতি খুঁজে বের করাও জন্যও এই কমিশন কাজ করছে।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেন, ‘আমরা অনেক ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে, আমরা যে সেবা সকলকে প্রদান করছি সেই সব মানুষদের কথাগুলো শোনা দরকার এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সাড়া দেওয়াও দরকার। সেই সাথে তাদের মুখোমুখি হয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলিকে যথাযথভাবে মোকাবেলা করার জন্য অপরিহার্যভাবে তাদের পরামর্শ নেয়াও প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সিভিল সোসাইটি কমিশন গঠন করেছি যাতে বিভিন্ন পটভূমি ও প্রেক্ষাপট থেকে নাগরিক সমাজকে একত্রিত করে তাদের কাছ থেকে আমাদের জন্য পরামর্শ নিতে পারি এবং সেইসাথে আমরা সকলের সাথে কাজ করতে পারি। তাদের কাছ থেকে আমরা শিখতে পারি, তাদের ধারণা এবং সঠিক পরামর্শ নিয়ে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি।’
বিএনএনআরসি নলেজ-ড্রাইভেন মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট-এর ভূমিকায় দেশীয় আঞ্চলিক, ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে কাজ করে থাকে। বিএনএনআরসির কর্মপ্রচেষ্টা হলো গ্রামীণ জনপদে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর তথ্য অধিকার, সুশাসন এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের দ্রুত পরিবর্তনশীল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ-সুবিধাসমূহ বিবেচনায় রেখে জ্ঞানভিত্তিক ও চলমান ইস্যু বিবেচনায় রেখে গণমাধ্যমের উন্নয়ন।