শিরোনাম
ঢাকা, ৮ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যান্ত্রিক এবং পঞ্চম শিল্প বিপ্লব যন্ত্র ও মানুষের মিশেলে একটি মানবিক শিল্প বিপ্লব। এই বিপ্লব নতুন সমাজ বিনির্মাণের সোপান। এরই ধারাবাহিকতায় শিল্প, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ জীবনের প্রতিটি স্তর ডিজিটাইজ করা হবে।
মন্ত্রী শনিবার রাতে ঢাকায় আইইবি মিলনায়তনে আইইবির কম্পিউটার বিভাগ আয়োজিত ডিজিটাল রূপান্তর: চুতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আইসিটি ও সিএসই মূল শক্তি বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে গত সাড়ে ১৪ বছরে বিস্ময়কর সফলতা অর্জিত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের আগেই একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। উন্নত জাতি বিনির্মাণের এই লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রকৌশলীদেরকে উন্নয়নের অগ্রসেনা আখ্যায়িত করে বলেন, আমাদের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবি। ব্যাংকিং সফটওয়্যারও তারা তৈরি করছে। শতকোটি টাকার সফটওয়্যার ৩ কোটি টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ডিজিটাল কমার্সে তারা দক্ষতার সাথে কাজ করছে, উদ্যোক্তা হচ্ছে। যথাযথ সহযোগিতার মাধ্যমে তরুণদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরি করতে পারলে বাংলাদেশ এগিযে যাবে বহুদূর। সিএসই ও আইটি প্রকৌশলীদের সরকারি চাকুরিতে যোগদানে উৎসাহিত করতে বিদ্যমান টেলিকম ক্যাডারের সাথে টেলিকম ও আইসিটি নামে একটি একিভূত ক্যাডার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৬৯ সালে শুরু হওয়া তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, ১৯৭৩ সালে আইটিইউ ও আইপিইউ-এর সদস্যপদ অর্জন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভ্-ূউপগ্রহ কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বীজ বপন করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাটট্যাক্স প্রত্যাহার, ৪টি মোবাইল অপারেটরকে অপারেশনের সুযোগ প্রদান, ভিস্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা চালু, দেশে বছরে ১০ হাজার প্রোগ্রামার তৈরির উদ্যোগ এবং জেআরসি টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর রোপন করা বীজটিকে চারাগাছে রূপান্তর করেন।
আইইবির কম্পিউটার বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহফুজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইইবির সভাপতি প্রকৌশলী মো: আবদুস সবুর, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মাহমুদা নাজনীন এবং আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামীম আক্তার।