বাসস
  ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৬

চাঁদপুরে শাশুড়ি ও স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড

চাঁদপুর, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস):  জেলার ফরিদগঞ্জে শাশুড়ি ও স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। 
রোববার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) শাহেদুল করিম এই রায় প্রদান করেন।
জানাগেছে,স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহকে কেন্দ্র করে স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতু (২০) ও শাশুড়ি পারভীন বেগমকে (৪৫) হত্যার দায়ে রিতুর স্বামী মো. আল মামুন মোহনকে (৩২) মৃত্যুদন্ড  দেয়া হয়েছে। রায়ে একই সাথে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত মামুন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মিয়াজান বেপারী বাড়ীর মৃত মনতাজ মাষ্টারের ছেলে। হত্যার শিকার তানজিনা আক্তার রিতু ও পারভীন বেগম চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলার নথি সূত্রে জানাগেছে, ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর মামুন ও রিতুর বিয়ে হয়। মামুনের বাড়ীতে ঘর না থাকায় রিতু বাবার বাড়ীতে থাকতেন। এরই মধ্যে মামুন বিদেশে চলে যায়। সেখানে কাজ না পেয়ে দেড় বছর পর দেশে ফিরে আসে । এরই মধ্যে নানা কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হয় মামুন ও রিতুর মধ্যে। এরপর ২০২০ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকায় সেলিম খানের তিনতলা ভবনের নীচতলায় ইফতারের সময় স্ত্রী ও শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন মামুন। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
ছুরিকাঘাত করার পর রিতু ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তার মা পারভীন বেগম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় রিতুর চাচা মো. লিয়াকত খান ফরিদগঞ্জ থানায় মামুনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন তৎকালীন সময়ের ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন। তিনি তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া। 
তিনি জানান, মামলাটি তিন বছরের অধিক সময় চলমান অবস্থায় আদালত ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য প্রমাণ, মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা ও আসামী তার অপরাধ স্বীকার করায় আদালত এই রায় দেয়। রায়ের সময় আসামী মামুন আদালতে উপস্থিত ছিল।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী হিসেবে আরো ছিলেন অ্যাডভোকেট দেবাশীষ কর মধু ও অ্যাডভোকেট জসিমউদদীন (২) এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর ও অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।