বাসস
  ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৪৯

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে চট্টগ্রামে ১৬ আসনে দায়িত্ব পালন করবেন ৩২ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী জজ 

চট্টগ্রাম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ (বাসস): আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তারা। পাশাপাশি চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় এলাকার জন্য ২৩ ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ সহকারী জজকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
৭ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ ও এর পূর্বে কঠোরভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালানোর বিষয়ে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় করা হচ্ছে। নগর ও উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথেও ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত করার পাশাপাশি কোনো প্রার্থীর পক্ষাবলম্বনের ব্যাপারেও কঠোর সতর্ক বার্তা দেয়া হচ্ছে। 
জেলা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিটি সংসদীয় আসনে মত বিনিময় শুরু করেছেন। এসব বৈঠকে প্রার্থীরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরছেন। নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিক এসব অভিযোগের নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিচ্ছে। ইতিপূর্বে কোনো কোনো প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়টি তুলে এনে কমিশন ভবিষ্যতে সব প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নির্বাচনী বিধি-বিধান মেনে তাদের কর্মকা- পরিচালনার পরামর্শ দিচ্ছে।
এদিকে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ এবং নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী অপরাধ অথবা অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের জন্য ২৩ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ সহকারী জজকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।  তারা আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন এবং ৫, ৬ ও ৮, ৯ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। 
চট্টগ্রামে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৩ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ সহকারী জজের মধ্যে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে সহকারী জজ ফারজানা তাবাসসুম মেরী ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জোনাইদ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মুস্তাকিম তাসিন, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোছাইন ও সহকারী জজ তৈয়ব উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকু-) আসনে সহকারী জজ মুজিবুর রহমান ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন পারভিন ও অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান পুনম ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর আক্তার, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. হাসান জামান, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে সিনিয়র সহকারী জজ মো. হেলাল উদ্দিন ও সহকারী জজ মোহাম্মদ মোস্তাফা, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিন ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনে সিনিয়র সহকারী জজ শামসুল আলম ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হক ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাররাহুম আহমেদ ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ার) আসনে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হক ও সহকারী জজ আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইসুমা সুলতানা ও সহকারী জজ কামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) আসনে সহকারী জুডিসিয়াল সুব্রত দাশ ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ ও সহকারী জজ কাওসার মাহমুদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। 
উল্লিখিত ৫ দিন দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকাগুলোতে ভোটগ্রহণ ও ভোটের আগে-পরের যেকোনো নির্বাচনী অপরাধ ও অভিযোগের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার ও দ্রততম সময়ে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তাঁদের।