শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে, চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী এলাকার ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় আমি সন্তুষ্ট। আমার নির্বাচনী এলাকায় বিচ্ছিন্ন যে দু-একটি ঘটনা ঘটেছে, এসব নিয়ে আমি ইসিতে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার পেয়েছি। ফলে আমি বিশ^াস করি- আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ মোহাম্মদ মনজুর আলম আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিক এবং নানা শ্রেণি ও পেশার লোকজনের উপস্থিতিতে ২০ দফা কর্মপরিকল্পনা-সম্বলিত ইশতেহার ঘোষণাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি মহান জাতীয় সংসদে দেশ ও মানুষের কল্যাণে আমার সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রাখবো। যেহেতু আমি কোনো দলের নই, ফলে আমার ফ্লোর থাকবে উন্মুক্ত। জনকল্যাণে আমি সুবিবেচিত ভূমিকা রাখতে পারবো।’
কোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে দেবেন না- উল্লেখ করে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মনজুর আলম বলেন, ‘ভোটগ্রহণের সর্বশেষ সময় পর্যন্ত আমি, আমার কর্মী-সমর্থক ও সুহৃদরা সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকবো। ইতোমধ্যে আমার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ অবাধে ভোট দিতে পারবেন এবং ইনশাল্লাহ আমি বিজয়ী হবো।’
এর আগে, তিনি তার ২০ দফা কর্মপরিকল্পনা-সম্বলিত একটি লিখিত ইশতেহার পাঠ করেন।
ইশতেহারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক এ মেয়র বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটাররা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসবেন এবং চট্টগ্রাম ১০ আসনের উন্নয়নে আমার ফুলকপি প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করে দেশ ও দশের সেবা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবেন।’
সাবেক মেয়র বলেন, ‘২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চট্টগ্রাম মানুষ বিপুল ভোটে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করে নগর ভবনে পাঠিয়ে নগরবাসীর সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমিও মেয়র নির্বাচিত হয়ে আমার সাধ্যমত আপ্রাণ চেষ্টা করেছি নগরবাসীকে সেবা দিতে। ইশতেহারে সংক্ষিপ্ত আকারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমি কিছু অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, ‘বিগত ৪০ বছর যাবত আমি মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। আমি ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১০ ইং সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে প্রায় ১৭ বৎসর টানা ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলর পদে থেকে এলাকার সেবা করেছি। এ সময়ে ৯ বার (সাড়ে তিন বছর) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র এবং ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত নির্বাচিত মেয়র হিসেবে নগরবাসীর সেবা করেছি। আমার মরহুম শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতার নামে আলহাজ মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এবং আলহাজ হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছি। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের অধীনে ১০৩ টি সেবাধর্মীমূলক প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। এখানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাতৃসদন হাসপাতাল, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রাম, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, মন্দির ও মহাশশ্মানসহ বহু প্রতিষ্ঠান।’
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হারিছ, জাফর আহমদ, আবুল কাশেম, শাহ আলম, সুলতান আহমদ, মো. নুর মিয়া, এমএ তাহের, শাহীন আলম, আলহাজ মোহাম্মদ সরওয়ার আলম, নিপুর চৌধুরী, শামসুল আলমসহ নানা শ্রেণি ও পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।