শিরোনাম
ঢাকা, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব এবং দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, বিএনপি বাস-ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। যেনো মানুষ ভোট দিতে না যায়। আজ শনিবার সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়স্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
আরাফাত বলেন, বিএনপি ভোট বর্জনের রাজনীতি করছে। তারা বলছে মানুষ যেনো ভোট দিতে না যায়। এজন্য বিএনপি সারাদেশে লিফট বিতরণ করেছে। ভোটের দিন মানুষ যাতে ভোট দিতে না যেতে পারে সেজন্য হরতাল ডেকেছে।
তিনি বলেন, আসলে তারা নিজেরাও বিশ্বাস করে না যে মানুষ ভোট বর্জন করবে। যেহেতু তারা এটা বিশ্বাস করে না, সেজন্য তারা প্রথমে লিফলেট বিতরণ করেছে, এরপরে হরতালের ডাক দিয়েছে। নতুন করে নাশকতা করে এবং মানুষকে পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। হুমকি দিচ্ছে যেনো মানুষ ভোট দিতে না আসে।
নির্বাচনের ২০টি ভোটকেন্দ্র পোড়ানো, ট্রেনে আগুন দেয়াসহ প্রতিটি নাশকতার ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব বলেন, প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রে যখনই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যখনই কেউ ধরা পড়ছে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে হয় সে স্বেচ্ছাসেবক দলের, হয় ছাত্রদল, না হয় যুবদল, না হলে বিএনপি'র কোন না কোন পর্যায়ের নেতা বা কর্মী। তারা অনেকেই ধরা পড়ার পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিচ্ছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার ও আজ শনিবার বিএনপি-জামায়াত দেশের ২০টিরও বেশি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। রাজবাড়ীর একটি স্কুলে পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশের এক সদস্যকেও তারা হত্যা করেছে। রামুতে রাখাইন মন্দিরে আগুন দিয়েছে। ডেমরা ও কুমিল্লায় দুইটি বাসে আগুন দিয়েছে তারা। ভোলাতে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলা করেছে। এই চিত্র শুধু গত দুই দিনের। নির্বাচনের বিরোধিতা ও সন্ত্রাসের ইতিহাস বিএনপির ডিএনএ- তেই আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপপ্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও গোলাম রব্বানী চিনু উপস্থিত ছিলেন।