শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : রাজধানীর রমনা থানার দুটি ও পল্টন মডেল থানার দুটি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেখায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া রমনা থানার দুটি ও পল্টন মডেল থানার দুটি মামলার মূল নথি না থাকায় শুনানি হয়নি। নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে এ চার মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
তার আইনজীবী জানিয়েছেন এ চারটি মামলায় জামিন পেলে কারামুক্তিতে তার আর কোন বাধা থাকবেনা।
বুধবার রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আট মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিষ্ট্রেট তোফাজ্জেল হোসেনের আদালতে তার জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। গতকাল আমির খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য আদালত আমির খসরুর উপস্থিতিতে গ্রেফতার ও জামিন সংক্রান্ত শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।
এর আগে রোববার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত শুনানির জন্য বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেন। তারও আগে আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ তার জামিনের আবেদন করেন।
২৮ অক্টোবর বিএনপি’র ডাকা সমাবেশকে ঘিরে দলের নেতাকর্মীদের সহিংসতা, পুলিশের উপর হামলা ও একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এজন্য আট মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়েছে। এরমধ্যে রমনা মডেল থানায় চারটি এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন।
আদালত গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পল্টন মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় দশ হাজার টাকা মুচলেখায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।