শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ঢাকা চারপাশে বার্জ চালু করার বিষয়ে কাজ করছি। ঢাকার চারপাশের লোহাইটের ব্রীজগুলোর উচ্চতা বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি বলেন, গোমতী সেতুর উন্নয়নে কাজ করা হবে, যাতে এর নিচ দিয়ে বার্জ যেতে পারে। কেউ বার্জ তৈরির অনুমতি চাইলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিদল তাঁকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ এর সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দিন জেবেল ও সাধারণ সম্পাদক আফরিন জাহানসহ ফোরামের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় (আইএমও) ‘সি’ ক্যাটাগরির কাউন্সিল নির্বাচিত হয়েছে। এতে বিশ্বে পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। আমরা এ সম্পর্কিত একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স’ করব। কূটনৈতিক রিলেশনশিপ বাড়াতে হবে। ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসির কথা বলেছেন।’ প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারেন- সামনে কি করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্য কেউ এরকম ভাবেননি। দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা বড় প্রাপ্তি। আরো ভালো থাকতে চাই। কিভাবে ভাল থাকব সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলার মানুষের কাছে গর্বের জায়গায় চলে গেছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গতকালের অনাকাংখিত ফেরি দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পর মূল বিষয়টি জানতে পারব।
তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের যোগাযোগের উন্নয়নে স›দ্ধীপ, কুতুবদিয়া অঞ্চলের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। হাতিয়ার ব্যাপারে স্পেশাল অর্থের চেষ্টা করা হচ্ছে। খুলনা অঞ্চলের নদী নিয়ে কর্মশালা করেছি। বিআইডব্লিউটিএ খুলনা অঞ্চলের নদীগুলোর উন্নয়নে কাজ করছে। নোয়াপাড়া নদী বন্দরের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। চিলমারী নদী বন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে; সেখানে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদী তীর রক্ষা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ করা হচ্ছে। এর একটি পজিটিভ দিক হলো- নদী নিয়ে সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। নদীর পাশে মানুষকে নিতে পেরেছি। ঢাকা উদ্যান এলাকায় আগে কেউ যেত না; এখন লক্ষ লক্ষ লোক যাচ্ছে; এটি আমাদের প্রাপ্তি।
তিনি বলেন, নদী রক্ষায় জাতীয় নদীর রক্ষা কমিশন কাজ করছে। জেলা পর্যায়ে নদী রক্ষা সংক্রান্ত সবগুলো কমিটি হয়নি; সেগুলো হয়ে যাবে। উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করতে হবে। নদী রক্ষায় সমাজে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। নাগরিকরা এগিয়ে এসেছে। রংপুর অঞ্চলে তিস্তা ও ঘাঘর নদী নিয়ে অনেক নাগরিক ও সংগঠন কাজ করছে।