বাসস
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২৬

বহু আগে জনগণ বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমে কালো পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নীলফামারী, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি গতকাল কালো পতাকা মিছিল করেছে। কিন্তু বহু আগে জনগণ বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমে কালো পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে। তারা বিদেশিদের কাছে ধর্না দিয়েছিল, কোনো লাভ হয় নাই। জনগণ তাদেরকে কালো পতাকা দেখিয়েছে, আর বিদেশিরা লাল পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে।
আজ রোববার সন্ধ্যায় নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শীতার্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ  বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ট্রেন স্টেশনে দেখা হয়, এয়ারপোর্টে দেখা হয়, বলি ভাই কি ঘটনা। বলেন উনি সব শেষ করেছেন। উনি কে, উনি হচ্ছেন তারেক রহমান। কারণ আজকে বিএনপিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন এই তারেক রহমান। তারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে না। এই আমরা যখন শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করছি, শীতবস্ত্র বিতরণ করছি, বিএনপির কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপিকে কখন খুঁজে পাওয়া যায়, যখন পেট্রোল বোমা মারে। আর জাতীয় পার্টি, তাদেরওতো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা এখন রওশন এরশাদ আর জি এম কাদের এই দুইটা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। শুধু আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে আছে। শুধু আওয়ামী লীগ মানুষের কাছে আছে। আজকে শীতবস্ত্র বিতরণ বলুন, কিংবা মানুষের কাছে অন্যান্য সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া বলুন, সেটি একমাত্র আওয়ামী লীগই করছে’।
তিনি বলেন, ‘কালকে নাকি বিএনপির নেতারা বলেছে যে, আমরা (আওয়ামী লীগ) ভারত, রাশিয়া, চীনের সরকার। আমরা জনগণের সরকার। আমরা এই দেশের খেটে খাওয়া মানুষের সরকার। এই দেশের মানুষ কতৃক নির্বাচিত সরকার। আমাদের সঙ্গে ভারত, রাশিয়া, চীনের যেমন ভালো সম্পর্ক। আমাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশের সাথেও আমাদের ভালো সম্পর্ক। তাই ওদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আপনারা দেখতে পেয়েছেন সমগ্র পৃথিবির সমস্ত রাষ্ট্র জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং কাজ করার আগ্রহ জানাচ্ছে। এতেই বিএনপির মধ্যে হতাশা আরও গভীর হতাশায় পরিনত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণের রাজনীতি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি আজকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের একজন নেত্রী। জননেত্রী শেখ হাসিনা যাঁর কাছে গেলে মনে হবে তিনি আপনার মা, বড়বোন। অন্য কোনকিছু আপনার কাছে মনে হবে না। তাঁকে দূর থেকে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী, যখন গিয়ে কথা বলবেন তখন মনে হবে উনি আপনার মা কিংবা বড়বোন। এটিই হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। এখানেই হচ্ছে অন্যদের সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্থক্য। আর আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে থাকে। অন্যরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। আরেকটা গ্রুপ আছে কেমনে ক্ষমতার সঙ্গে থাকবে সেই চেষ্টায় লিপ্ত থাকে, এর বাইরে অন্য কোন রাজনীতি নাই। আমাদের রাজনীতি জনগণের রাজনীতি। আমাদের রাজনীতি খেটে খাওয়া মানুষের জন্য রাজনীতি’।
তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু ঘর করে দিচ্ছেন তাই নয়, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ ২২ প্রকারের ভাতা প্রদান করা হয়। প্রতিটি ইউনিয়নের দুই হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার, পাঁচ হাজার পর্যন্ত নানা ধরণের ভাতা দেওয়া হয়। মাতৃত্বকালীন ভাতা কেউকি ভেবেছে কখনো যে অন্তস্বত্তা হলে সরকার পয়সা দিবে। আর মেয়ে স্কুলে গেলে আপনার মোবাইল ফোনে টাকা চলে আসবে। কেউ স্বপনেও দেখেছেন ? প্রথম প্রথম যখন টাকা চলে আসছে মায়েদের কাছে সে লাফ দিয়ে বললো, ঘটনাটা কি, এটা স্বপ্ন দেখতাছি না এটা আসল। করোনা মহামারীর মধ্যেও মোবাইল ফোনে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা হচ্ছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগ যেমন আপনাদের পাশে আছে, আপনারও আওয়ামী লীগের পাশে থাকবেন’।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।