বাসস
  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৪

পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ করবে : বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, দেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একসাথে কাজ করবে। নিউইয়র্কে বিমানের স্লট তাড়াতাড়ি ফিরে পেতে রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনা হয়েছে। 
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন ও এভিয়েশনকে এগিয়ে নিতে দুই দেশ আগেও কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। আর যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে এই দুইটি খাতে আরও সাহায্য করতে পারে তা তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মতের অমিল হলেও বন্ধুত্বের স্বার্থে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে। 
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও সামনে এগিয়ে যাবে।  বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে তা দ্রুত শেষ করতে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি ও বাংলাদেশ বিমানকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন উড়োজাহাজ কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং তার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। আমরা চাই বোয়িং যেন এই উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং এই প্রক্রিয়াটি যেন একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই চায় যে, বাংলাদেশ বিমানে আরো বোয়িং উড়োজাহাজ যুক্ত হোক। তবে  আর্থিক ও কারিগরি দিকসহ সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বোয়িং বা এয়ারবাস যে কোম্পানি থেকে কিনলে বাংলাদেশের জন্য সুবিধা হবে সেখান থেকেই কেনা হবে।
নিউইয়র্কের সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এফএএ অডিট কবে নাগাদ সম্পন্ন হতে পারে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, বর্তমানে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আইকাও এর একটি অডিট টিম কাজ করছে। তারা যাওয়ার পরে আমরা একটা সুবিধাজনক সময় এফএএ কে অডিটের জন্য আমন্ত্রণ জানাবো। তবে সেটা এ বছরই হবে।
পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সে সময় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে ৮০ হাজার বাংলাদেশী প্রবাসী বসবাস করে উল্লেখ করে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সরাসরি আকাশ যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
জবাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা আমাদের দেশে পর্যটনের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সরাসরি আকাশ যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টিও ভেবে দেখা হবে।