বাসস
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪২

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে জাপানের সহযোগিতা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী পলক

ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে জাপানের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জাপান  বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। 
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির আলোকে আগামী দুই মাসের মধ্যে বা তারও আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং জাপান দূতাবাস ও জাইকা এক সাথে কাজ করলে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ সংক্রান্ত মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্তভাবে উদ্বোধন করা সম্ভব। 
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে জাপানের মতো করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। জাপানের প্রযুক্তি খাত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুকে সোনার বাংলা বিনির্মাণে অনুপ্রাণিত করেছিল।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সৌজন্য সাক্ষাতকালে তাৎক্ষণিক এক বৈঠক শেষে যৌথ প্রেসব্রিফিংয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
সাক্ষাতকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপান বন্ধুপ্রতীম দু’টি দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন। 
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নে জাপান  সরকার ও জাপানের বেসরকারি খাতের সহযোগিতা তুলে ধরে পলক বলেন, এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল, মেট্রোরেল, মাতার বাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ব্রিজ, রেল, সড়ক এবং পরিবহনসহ অবকাঠামো খাতে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ রয়েছে। বিভিন্ন খাতে জাপানি বিনিয়োগ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখছে। আইসিটি সেক্টরে জাপানের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও সহযোগিতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স প্রোগ্রাম কর্মসূচির আওতায় কয়েকশ’ ইঞ্জিনিয়ার জাপানে কাজ করছে। কয়েক হাজার ছাত্র আইটি প্রোগ্রামে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা, জাপান এবং ঢাকার বাইরের অনেক শহরে জাপানিজ কোম্পানিতে কাজ করছে। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ৬০টি দেশে আইটি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে জাপান অন্যতম একটি গন্তব্য বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরকালে বাংলাদেশ ও  জাপানের মধ্যে স্বাক্ষরিত মেমোরেন্ডাম অব কো-অপারেশনের আওতায় পারস্পরিক সহযোগিতা এবং প্রযুক্তি ও জ্ঞানের আদান-প্রদানের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাপান বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বৈঠকে টেলিকম ও আইসিটি সেক্টরে অধিক জাপানিজ বিনিয়োগ যাতে হয় সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী  জাপানে রপ্তানি বাড়ানো, টেলিটক এবং টেশিস-এ বিনিয়োগের সুযোগগুলোও এ বৈঠকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পিপিপি’র আওতায় জাপানের ডাক ব্যবস্থা আধুনিকায়ন হয়েছে। সেজন্য আমাদের ডাকঘরের উন্নয়নে বিনিয়োগ ও অন্যান্য খাতেও জাপানের সহায়তা চেয়েছি।’  
এ সময় জাপানি রাষ্টদূত বলেন, ‘আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আইসিটিসহ বিভিন্ন সেক্টরে সরকারের চাহিদা পূরণে আমরা কাজ করে যাবো।’
বাংলাদেশে জাইকার চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুউচি টমোহিদি এবং জেট্রোর ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইয়ামাদা কাজুনুরি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।