শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ক্যাবল শিল্প গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট ক্যাবল শিল্পের জন্য স্মার্ট সম্পদ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। এই লক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেডকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে যুগের উপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি এসময় আয় বৃদ্ধি ও অপচয় কমিয়ে আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য রেখে প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ শুক্রবার বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেডকে গর্বিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে অপারেশন, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, বিক্রয় ব্যবস্থাপনা উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে খুলনায় বাণিজ্যিকভাবে এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও দেশে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বীজ বপন করেছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে আইটিইউ এর সদস্যপদ অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপন, দেশে কারিগরি শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগ গ্রহণ, প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ সহ বিভিন্ন যুগান্তকারী কর্মসূচি বঙ্গবন্ধু গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুগোপযোগী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রোপন করা বীজকে চারা গাছে রূপান্তরিত করেন। আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরিকল্পনায় ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা শুরু করেছি। এই মেয়াদে আমাদের চ্যালেঞ্জ হল আমরা দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে ৪টি স্তম্ভের অধীনে সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম তা নিশ্চিত করা।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে সাতক্ষীরা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবনে বিটিসিএল এর উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ইন্টারনেট জিপন ৩০৭২ সংযোগ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সেবা, খুলনায় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবনে ৮০০০ ধারণ ক্ষমতার জিপন সেবা এবং যশোর এক্সচেঞ্জ ভবনে ৩০০০ ধারণ ক্ষমতার জিপন সেবা উদ্বোধন করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে গত ২১ ফেব্রুয়ারি জিপণের বিশেষ সাশ্রয়ী মূল্যের প্যাকেজ ঘোষণা করেন। বিটিসিএল-এর ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ জিপন এর বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজের আওতায় ৫ এমবিপিএস এর বিদ্যমান মূল্য ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন সাশ্রয়ী এই প্যাকেজের আওতায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউডথ পাওয়া যাবে ৫০০ টাকায়। ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের বিদ্যমান মূল্য ৮০০ টাকা। এখন থেকে ১৫ এমবিপিএস পাওয়া যাবে ৮০০ টাকায়। ১৫ এমবিপিএস বিদ্যমান মূল্য ১০৫০ টাকা, এখন থেকে সমপরিমান টাকা অর্থাৎ ১০৫০ টাকায় পাওয়া যাবে ২০ এমবিপিএস। বিদ্যমান মূল্যে ২০ এমবিপিএস এর দাম ১২৫০ টাকা। বিদ্যমান মূল্যে ২৫ এমবিপিএসের দাম ১৪৫০ টাকা। ২৫ এমবিপিএস এর পরিবর্তিত প্যাকেজ মূল্য ১৩০০ টাকা। ৩০ এমবিপিএস এর বিদ্যমান মূল্য ১৬৫০ টাকা। পরিবর্তিত মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ১৫০০ টাকা। ৪০ এমবিপিএস এর মূল্য ২০৫০ টাকা, পরিবর্তিত মূল্য ২০০০ টাকা। ৫০ এমবিপিএস এর মূল্য ছিল ২৪৫০ টাক্,া পরিবর্তিত দাম রাখা হয়েছে ২৪০০ টাকা।