বাসস
  ০৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৬

কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

ঢাকা, ৮ মার্চ, ২০২৪ (বাসস): মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ পালিত হয়েছে। 
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ-’২৪) সকাল ১১টায়  জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের  হাইকমিশনার  মো. শামীম আহসান হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। 
আলোচনা সভার শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় তাঁদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির  শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ঐতিহাসিক দিনটির প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। 
তিনি বলেন, ১৯৭১’র ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এই ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকেই স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেনি, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষকে সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃত ৭ মার্চের ভাষণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করেই ইউনেস্কো ২০১৭ সালে এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে। 
শামীম আহসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণের স্বপ্নকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। তাঁর কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ একটি গতিশীল অর্থনীতি ও সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। 
প্রবাসী-বান্ধব এই সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যাংকের মাধমে রেমিট্যান্স পাঠানোর এবং সার্বজনীন পেনশন স্কীমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন,  বৈধ পথে টাকা পাঠানো হলে দেশের অর্থনৈতিক  উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।  
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।