শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৯ মার্চ, ২০২৪ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম সারাদেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এই বন্দর নগরীর উন্নয়নের কোন বিকল্প নাই।
চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন সেই লক্ষ্য অর্জনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাজুল ইসলাম আজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে শুধুমাত্র বরাদ্দকেই বুঝায় না বরং নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে বুঝায়।
তিনি বলেন, প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদকে তাদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার বিষয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের আয় বৃদ্ধি পেলে এবং সহজে নাগরিক সেবা পেলে মানুষ রাজস্ব দিতে উৎসাহ বোধ করবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বরাদ্ধের সুফল যাতে জনগণ সঠিকভাবে পায় সেজন্য সিটি কর্পোরেশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে যানজট ও জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।
আসন্ন বর্ষাকালে এডিস মশা ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, বাসা বাড়ি, স্কুল কলেজ, হাসপাতাল ও থানা থেকে শুরু করে যেসব জায়গায় পরিষ্কার স্বচ্ছ পানি জমাট বাঁধতে পারে সেখানে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে হবে যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে।
এ বিষয়ে নিজ নিজ এলাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে রাস্তা প্রশস্ত করতে নেওয়া যে কোনো উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতির কথা জানান মন্ত্রী।
ইনসিনারেশন পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, কর্নফুলি নদী ও বঙ্গপোসাগরকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে এই পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য আইডি নাম্বার দিয়ে কাজ করা হবে, যাতে একই রাস্তায় বরাদ্দ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং আব্দুস সালাম, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম ও ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার রাজিব রন্জন।