শিরোনাম
ঢাকা, ২১ মার্চ, ২০২৪ (বাসস): ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘মশা নিধনের লক্ষ্যে ডিএনসিসির খাল না হওয়া সত্ত্বেও আমরা সেগুলো পরিষ্কার করছি।’
বুধবার রাজধানীর উত্তরা ১২নং সেক্টরের রাজউক খালে ডিএনসিসি’র মশক নিধন ও পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। পরিদর্শনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এসময় ডিএনসিসি মেয়র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খালের পাড় দিয়ে হেঁটে খালের কিছু অংশ ঘুরে দেখেন। তারা খালের কচুরিপানায় ব্যাপক কিউলেক্স মশা দেখতে পান।
স্থায়ী সমাধানের জন্য খাল পরিষ্কারের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘কিউলেক্স মশা নিধনে আমরা খাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছি। উত্তরার রাজউক খালে প্রচুর কচুরিপানা, যার ফলে উত্তরা এলাকায় কিউলেক্স মশা ব্যাপক বেড়ে গেছে। এই খালটির মালিকানা রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। আজকে এসে জানতে পারলাম এটিতে ওয়াসারও মালিকানা আছে। আমি অনেকবার বলেছি, খালটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে হস্থান্তর করে দেয়ার জন্য। কিন্তু এখনো খালটি হস্থান্তর করা হয়নি। এই এলাকায় নিয়মিত ওষুধ ছিটালেও, খালের কচুরিপানা থেকে প্রচুর মশা জন্মায়।’
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে সাধারণত কিউলেক্স ও এডিস এই দু’ধরনের মশা বেশি দেখা যায়। কিউলেক্স মশার কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয় না। কিন্তু এডিস মশার কামড়ে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি আছে। এডিস মশা মানুষের বাসা-বাড়ি, অফিস আদালতের জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে জন্মে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য যার যার ঘর-বাড়ি, অফিস, আদালতে নিজেদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। কারো বাড়ির ছাদে পানি জমে আছে কিনা, বারান্দায় নারিকেলের খোসা, রঙের কৌটা, অব্যবহৃত টায়ার পড়ে আছে কিনা, ভবনের বেজমেন্টে গাড়ির গ্যারেজে পানি জমে আছে কিনা এগুলো দেখা আমাদের একার পক্ষে সম্ভব না। এগুলো নিজেদের দায়িত্ব।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর থেকেই ব্যাপকভাবে ক্যাম্পেইন শুরু করবো। গত বছর মশার লার্ভা নিধনের জৈব কীটনাশক বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) আমিদানির উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু আপনারা জানেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতির কারণে সেটি ব্যবহার করা যায়নি। তাই এবার আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে সরাসরি বিটিআই আমদানি করছি। আশা করছি আগামী দু’মাসের মধ্যে বিটিআই নিয়ে আসবো। ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিনও (হুইলবারো মেশিন) আনার প্রক্রিয়া চলছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমরা বর্ষার আগেই প্রস্তুতি নিয়েছি।