বাসস
  ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৪

সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি : হাইকোর্টের রায়ে আট সপ্তাহের স্থিতাবস্থা

ঢাকা, ২৪ মার্চ ২০২৪ (বাসস) : সংসদ সদস্য ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি  ছাড়া নিয়ে হাইকোর্ট রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। 
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। তিনি বাসসকে আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান। 
আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
আজকের আদেশের ফলে সালাম মুর্শেদীর বাড়ি এখন যে অবস্থাতে আছে সেই অবস্থাতে থাকবে বলে জানান আইনজীবীরা। 
আবদুস সালাম মুর্শেদী গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত যে বাড়িটি দখলে রেখেছেন, তা পরিত্যক্ত উল্লেখ করে ওই সম্পত্তি সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে গত ১৯ মার্চ নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। 
রায় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবের মাধ্যমে তাকে ওই সম্পত্তি হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে।
ওই সম্পত্তি বুঝে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবকে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
রাজধানীর গুলশান-২-এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। 
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়িসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না-রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর রাজউক নথি দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালতের নির্দেশনার আলোকে
ওই বাড়ী নিয়ে দুদক হলফনামা আকারে তথ্যাদি দাখিল করে।
সালাম মুর্শেদীর আইনজীবী সিনিয়র  এডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, জনস্বার্থের মামলায় বাড়ি ছেড়ে দেয়ার রায় বিরল। এর আগে কখনো উচ্চ আদালত এরকম রায় দেয়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে আবেদন করেছি।