শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ মার্চ, ২০২৪ (বাসস) : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরের ৭ মার্চ বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর ডাকেই জনগণ যুদ্ধে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের মহানায়ক।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। বঙ্গবন্ধু, বাঙ্গালী জাতি ও বাংলাদেশ সমার্থক। তিনি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। মুক্তির দিশারি।’
প্রতিমন্ত্রী আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর পানি ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার ম্যুরাল উদ্বোধন শেষে পানি ভবনের সভাকক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
জাহিদ ফারুক বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বাধিকার অর্জন। মানুষের মৌলিক ও ন্যায়সংগত অধিকার নিশ্চিত হবে এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, শোষণ, বৈষম্য, অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত একটি সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ গঠন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ সুবিধা উন্নয়নে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। তিনি একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে পানির সুষ্ঠু ও টেকসই ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের মাধ্যমে স্বল্প মেয়াদে দারিদ্র ও দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করা এবং দীর্ঘ মেয়াদে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি মানুষের জীবন, জীবিকা ও বিনিয়োগ নিরাপদ করার স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, দেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রধান সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সাফল্যের সঙ্গে গত ৫০ বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬০ এর দশকেও কারাগারে থাকার দিনগুলোতে এদেশের নদী ও পানি সম্পদ এর সুষ্ঠু ব্যবহার সম্পর্কে ভাবতেন যা তাঁর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই-এ দেখা যায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন করেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যার ফলে বিশ্বের বুকে মর্যাদার জায়গায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ এক সময় সারা বিশ্বের কাছে দরিদ্র, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল- সেই দেশকে শেখ হাসিনা আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘আগামী ১শ’ বছরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাই বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০। ২১০০ সালে বাংলাদেশকে যেভাবে গড়তে চাই সেভাবেই আমরা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এর মত যুগোপযোগী ও দূরদর্শী পরিকল্পনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, যা বর্তমান প্রজন্ম কর্তৃক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সেরা উপহার।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূয়া। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আখতানরুজ্জমান ও পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা’র মহাপরিচালক মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।