বাসস
  ২৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭

শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর : সিমিন হোসেন  

ঢাকা, ২৭ মার্চ, ২০২৪ (বাসস) : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করে আজকের শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর। 
তিনি আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সভাকক্ষে একাডেমীর উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। স্বাধীনতার চেতনায় আত্মমগ্ন হয়ে সকলকে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে হবে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীনতার যথার্থ মূল্য দিতে শিখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার মাধ্যমে শিশুদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ  হবার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ রক্ত, অশ্রুস্নাত বিক্ষুব্ধ বিদ্রোহের দিন। ২৬ মার্চ বাঙালীর শৃঙ্খল মুক্তির দিন। বাঙালির মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ২৬শে মার্চ বাঙালীর দীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা পর্ব। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিনের ইংরেজ শোষণ থেকে মুক্ত হয়েও বাঙালি স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল পায়নি।
তিনি বলেন, পাকিস্তানী শাসকেরা অত্যাচার, নির্যাতন ও শোষণ করতে থাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিদের। পাকিস্তানিদের প্রকৃত চেহারা উপলব্ধি করে এদেশের মানুষের মনে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার স্বপ্ন জাগরিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে পুরো বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে স্বাধীনতা শব্দটি বহুপ্রতীক্ষিত একটি স্বপ্নের নাম। দীর্ঘ সময় ধরে আমরা পরাধীন একটি জাতি ছিলাম, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শৃংখল থেকে চিরতরে মুক্তির লড়াই শুরু হয়। শত্রুর হাত থেকে স্বদেশভূমি তখন মুক্ত না হলেও মনে মনে আমরা নিজেদের সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবতে শুরু করি সেদিন থেকেই। তাই ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী প্রাঙ্গনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন  প্রতিমন্ত্রী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শতশিশুর সঙ্গে সংগীত পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন বরেণ্য সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা।