শিরোনাম
ঢাকা, ৫ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস): নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী দিনে সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে। আর পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে সদরঘাটের চিরায়িত চিত্র বদলে গেছে। এখানেও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ শুক্রবার ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাজিদুল ইসলাম, যুগ্মসচিব মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য সেলিম ফকির উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে স্পিড বোটে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতে হয়েছে। আর এখন সরাসরি রাস্তা দিয়ে এখানে আসা যায়। কারণ গোলাপ শাহ্ মাজার থেকে এ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যেতো। এখন পদ্মা সেতুর কারণে সেই শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএ এর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের মধ্যে আনন্দ দেখা যাচ্ছে, তারা স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারছে, কোন ধাক্কাধাক্কি নেই ।
তিনি বলেন, ‘‘আগে দেখতাম লঞ্চে জায়গা নেয়ার জন্য রাত ৮ টায় লঞ্চে ছেড়ে যাবে কিন্তু যাত্রীরা সকাল বেলা এসে লঞ্চে বসে থাকতো দুপুরের খাওয়া দাওয়া নিয়ে। বর্তমানে সেই অবস্থা নেই। আস্তে আস্তে এই পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সাংবাদিকদের কাছে একটা লোভনীয় ছবি ছিলো, যে পুরো লঞ্চ থেকে ছাদ পর্যন্ত শুধু মানুষ আর মানুষ। এই ছবি কিন্তু এখন আর পাওয়া যাবে না। গতকাল আমি ফেসবুকে একটা ছবি দেখছিলাম বললাম এটা এখন একটা ইতিহাস, এটা আর ফিরে আসবে না’’।
সদরঘাটের কর্মীরা আগে ঘুমাতে পারতো না এখন একটু স্বস্তিতে আছে-উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দেয়া হয়েছে, পরিবেশ ধরে রাখার জন্য অনেক লঞ্চ মালিকের ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করেছে। কারণ এই জায়গায় ভালো সার্ভিস দিতে না পারলে মানুষ বিমুখ হয়ে যাবে। পরিবেশ ভালো আছে, আমাদের লোকজন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যাত্রী সাধারণকে সেবা দেয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে।
মেট্রোরেলের সুবিধা পুরান ঢাকাবাসীও পাবে-জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির বিষয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। পাঁচ বছরে তেমন কিছু করতে না পারলেও বিগত পনেরো বছরে তিনি বাংলাদেশকে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উপহার দিয়েছেন। সদরঘাটের সাথে যাতে মেট্রোরেলের কানেকশন হয় সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বসবাসকারী দক্ষিণঞ্চালবাসীও মেট্রোরেলে করে সদরঘাট আসতে পারবে। সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অনেকটা পিছিয়ে ছিলো। তাদের তুলে আনার জন্য পায়রা বন্দর করা হয়েছে। কাজেই পদ্মা এবং পায়রা বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। পরে প্রতিমন্ত্রী সদরঘাটে নৌযান ও ঘাট কর্মীদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেন।