শিরোনাম
ঢাকা, ২ মে, ২০২৪ (বাসস) : টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন ও জনগণের সম্মিলিত প্রয়াসে বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ) উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেকশোরে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) মোঃ আখতার হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মোঃ আখতার হোসেন এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির সাফল্য তুলে ধরে এসডিজি ৫ ও ১৬ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ) সুইজারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, এবং বাংলাদেশ সরকার (জিওবি)সহ জাতীয় ও স্থানীয় সংগঠনসমূহের মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক উদ্যোগ।
প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য দেশের উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা ১৬ (শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান) ও লক্ষ্যমাত্রা ৫ (লিঙ্গ সমতা)-অর্জনকে তরান্বিত করা।
অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনে উন্নয়ন সহযোগি ৩টি দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতগণ বক্তব্য রাখেন। তাঁরা হলেন ঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত ক্যানাডার হাই-কমিশনার ডঃ লিলিনি কোলস, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিঃ পিটার হ্যাস এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিঃ রেটো রেং গলি।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ অতিথি এনজিও বিষয়ক ব্যুরো’র মহাপরিচালক এম.ডি. সাইদুর রহমান সিইএফ-এর জন্য তাদের পূর্ণসমর্থন এবং শুভকামনা জানিয়েছেন।
সিভিল সোসাইটি সংগঠণের পক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খান ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক রোখসানা খন্দকার, মিডিয়া রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ-এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান এবং আইডেনটিটি ইনক্লুশন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসীন আহমেদ।
দেশের মানুষের সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত করার ক্ষেত্রে জনগণকে ক্ষমতায়িত করাই সিইএফ-এর উদ্দেশ্য।
সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ) সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সকল নাগরিকের কাছে পৌঁছে, তাদের একত্রিত করে সকলের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করবে। এই তহবিলটি নাগরিক সমাজ ও সামাজিক সংগঠনসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব এবং নেটওয়ার্কিং-কে আরও সংগঠিত করবে, তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করবে এবং নাগরিকদের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যার ফলে জনগণ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার পারস্পরিক যোগাগোগ, আলোচনা ও সংলাপ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
তাছাড়া সিইএফ সামাজিক সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এবং সক্ষমতার সাথে জটিল সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, অর্থপূর্ণ অ্যাডভোকেসি-সহ অন্যান্য কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে ওপেন ফোরাম ডিসকাশন এবং প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে উপস্থিত বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ তাদের জিজ্ঞাসা, মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে স্থানীয় পর্য়ায়ের সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ তাদের মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন।
সবশেষে সকল অংশগ্রহণকারীগণকে তাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও অবদানের জন্য ধন্যবাদ প্রদান করা হয় এবং বাংলাদেশের সর্বস্তরের নাগরিকদের অংশগ্রহণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপকে উৎসাহিত করার ব্যাপারে জোর দেওয়ার মাধ্যমে নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।