বাসস
  ২৫ জুন ২০২৪, ১৮:০৯

মডেল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনকে রাজস্ব খাত থেকে বেতন ভাতা দেয়া হবে 

সংসদ ভবন, ২৫ জুন, ২০২৪ (বাসস) : ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, দেশের ৫৬৪টি মডেল মসজিদের রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পদ সৃজনের পর তাদের বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত বেতন স্কেল থেকে প্রদান করা হবে।
তিনি আজ সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত স্বতন্ত্র সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। 
মন্ত্রী জানান, ‘দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদসমূহে প্রায় ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। তারমধ্যে বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদ, আন্দরকিল¬া শাহী জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে ৩ জন খতিব, ৬ জন পেশ ইমাম ও ৬ জন মুয়াজ্জিনের বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত সরকারিভাবে প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও একজন খাদেমকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে সম্মানীর ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। একইসাথে ৫৬৪টি মডেল মসজিদের রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। পদ সৃজনের পর তাদের বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত বেতন স্কেল থেকে প্রদান করা হবে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৪৯ হাজার ৭১৯ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। তাদেরকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা হারে সম্মানী প্রদান করা হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের পরিধি বাড়িয়ে দেশের অন্যান্য ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণকে পর্যায়ক্রমে সম্মানির আওতায় আনা হবে ইনশাআল¬াহ। 
মন্ত্রী বলেন, ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাষ্টের আওতায় প্রতি বছর ন্যূনতম ৫ হাজার ৫০০ জনকে ৪ হাজার টাকা হারে মোট ২ কোটি ২০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আর্থিক সাহায্য গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাষ্টের আওতায় প্রতিবছর ৬০০ জনকে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার ও ২৫ হাজার-এই তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে সর্বমোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকা সুদবিহীন ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে।
তিনি জানান, ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাষ্টের আয়বর্ধক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। ট্রাষ্টের আয় বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতে দেশের সকল ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের অনুদানের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এই লক্ষ্যে দেশের সকল মসজিদের ডেটাবেইস তৈরীর কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।