শিরোনাম
সংসদ ভবন, ২৭ জুন, ২০২৪ (বাসস) : প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জনমুখী বাজেট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারের অগ্রাধিকার খাতসমূহে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করবে।
জাতীয় সংসদে আজ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সরকারি দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা এ কথা বলেন।
চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং হামাস-ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এর কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও ৬ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি বর্তমান সরকারের ১৬তম এবং দেশের ৫৩তম বাজেট।
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা ব্যাংক লুটেরা ও অর্থপাচারকারী ও দুর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বাণ জানান। সংসদ সদস্যরা তাদের জন্য আমদানী করা গাড়ির ওপর প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ করের প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সরকারি দলের সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থপাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, যদি এই অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় তবে শেখ হাসিনা মালেশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদকেও ছাড়িয়ে যাবেন।
সরকারি দলের সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসৃজন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলাসহ সরকারের অগ্রাধিকার খাতসমূহে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করবে।
বরিশালের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে তিনি ভোলা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বরিশালে গ্যাস সরবরাহের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক করার দাবিও করেন তিনি। তিনি অবিলম্বে ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর হয়ে আগৈলঝাড়া পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান জানান।
বাজেট আলোচনায় আরও অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সরকারি দলের সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, সানজিদা খানম, মো. হাবিবুর রহমান, আলী আজম, এম এ মান্নান, শফিকুল ইসলাম শিমুল, দেওয়ান জাহিদ আহমেদ, রেজিয়া ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ, এ ডি এম শহিদুল ইসলাম, মুন্নুজান সুফিয়ান, আরমা দত্ত, অনিমা মুক্তি গোমেজ, এস এম আল মামুন, দিলোয়ারা ইউসুফ, মাহমুদ হাসান, ফেরদৌস আহমেদ, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, সুলতানা নাদিরা, মোছা. আশিকা সুলতানা, ফরিদা আক্তার বানু, রুমা চক্রবর্তী, এস এম শাহাজাদা, খান আহমেদ শুভ, অনুপম শাজাহান জয়, মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ, রাগেবুল আহসান, স্বতন্ত্র সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী, মো. আসাদুজ্জামান, গোলাম সরোয়ার টুকু, আখতারউজ্জামান, আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, এম এ জাহের, এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ, মো. আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ, ছানোয়ার হোসেন ছানু, মো. মশিউর রহমান মোল্লা সজল, মো. ওমর ফারুক, ইয়াকুব আলী, মোহাম্মদ ফয়সাল, জাকির হোসেন সরকার, এ বি এম আনিছুজ্জামান।
এর আগে সংসদ সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা সর্বাত্মক ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।