বাসস
  ০১ আগস্ট ২০২৪, ২৩:৩৩
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৪, ২৩:৩৬

বাংলাদেশের ধ্বংসযজ্ঞ জানাতে ব্রিটিশ সরকারকে স্মারকলিপি দিয়েছে বঙ্গবন্ধু লেখক ফোরাম

ঢাকা, ১ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস) : কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী ও সরকার বিরোধী বিএনপির দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক কর্মকা- তুলে ধরে ব্রিটিশ সরকারকে স্মারকলিপি দিয়েছে যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ বৃহস্পতিবার লন্ডন সময় দুপুরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই স্মারকলিপিটি পৌঁছে দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, 'বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাধারন শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে পূঁজি করে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতে ইসলামী জঙ্গিগোষ্টী ও সরকার বিরোধী বিএনপি দেশব্যাপী যে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে দেশব্যাপী এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃস্টি করে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে হতাহতের ঘটনায় অচল হয়ে পড়ে সমগ্র দেশ। শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দেশে জারিকরা হয় কারফিউ। সাধারন শিক্ষার্থীসহ ঘটে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনাও।'
সংগঠনের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসে গেলে, ১০নং ডাউনিং ষ্ট্রীটের একজন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন।
স্মারকলিপি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, সহসভাপতি বাতিরুল হক সরদার, সাধারন সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্দুল বাছির, সদস্য আতিয়ার রসুল কিটন ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় , সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সরকারের মত পার্থক্য না থাকলেও স্বাধীনতা বিরোধীরা শিক্ষার্থীদের মিছিলে প্রবেশ করে জেল ভেঙ্গে বেশ কয়েকজন জঙ্গিসহ কয়েক হাজার অপরাধীকে পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দেয়। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন,  মেট্রোরেলসহ বেশ কয়েকটি সরকারী স্থাপনা সম্পুর্ণ ধ্বংস করে।
এতে সকারের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। যা একটি উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে সহজে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। সরকারও চাইছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন করতে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকারী স্বাধীনতা বিরোধীরা কোনদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বেভৌমত্ব এবং উন্নয়নে বিশ্বাসী নয়। এরা চাইছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্ট করতে। এই গোষ্টী যেমনটি করেছিল ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে। এরা মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে পারদর্শী। এই গোষ্টী ব্রিটেনসহ বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বিষয়টিকে অন্যখাতে প্রবাহিত করতে চাইছে।