বাসস
  ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৫
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৯

ভারতের শাসকগোষ্ঠী বিদ্বেষপরায়ণ ও বাংলাদেশবিরোধী : রিজভী

ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় উগ্রবাদী নেতার বক্তব্য বিদ্বেষপরায়ণ ও বাংলাদেশবিরোধী।

তিনি বলেন, ‘ওরা বিদ্বেষপরায়ণ, বাংলাদেশের মানুষকে পছন্দ করে না, ওরা বাংলাদেশ বিরোধী। ভুটান তাদের (ভারত) সাথে নেই, নেপাল নেই, পাকিস্তান তাদের সাথে নেই, শ্রীলংকা নেই, ছোট্ট একটি দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপও তাদের সাথে নেই। ওরা কারো সাথে বন্ধুত্ব করতে পারে না।'

ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল-ছাত্রদলের যৌথ প্রতিবাদী পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে আজ সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তিনি এ কথা বলেন।

ভারত নিজেদের সেক্যুলার দাবি করলেও ভেতরে ভেতরে তারা কট্টর হিন্দুত্ববাদী। চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় আইজীবী হত্যার প্রসঙ্গ টেনে এ সময় তিনি বলেন, মারা গেল তো বাংলাদেশের মানুষ। একজন আইনজীবী, একজন মুসলিম তাকে মেরে ফেলা হলো কোনো কথা নেই। প্রতিদিন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে বলে ভারতের দিল্লি থেকে কলকাতা পর্যন্ত এই যে এক ভয়ংকর মিথ্যা কথার বেষ্টনী তৈরি করে গোটা বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন, তাতে কোনো লাভ হবে না।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘ভিসা বন্ধ করে বাংলাদেশের মানুষকে আসতে না দিয়ে আপনারা তো বাংলাদেশের মানুষের উপকার করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ সেখানে গেলে ডলার খরচ হতো, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচারও হতো । আর আমাদের ডলারগুলো এখন সেখানে (ভারতে) যাবে না’।

‘যে সমস্ত খাদ্যপণ্য আমদানি করতাম, চাল, পেঁয়াজ, আদা এখন আমাদের মানুষ আরও শ্রম দিয়ে এ সব পণ্য বেশি করে উৎপাদন করবে, ‌‌‌‌‌উল্লেখ করে বাংলাদেশ বিরোধী হয়েও তারা কেনো বাংলাদেশের ইলিশের জন্য কাতর হয়ে থাকে? সে প্রশ্নও তোলেন রিজভী।

রিজভী বলেন, তিন সংগঠনের এই প্রতিবাদ হবে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। কারণ পার্শ্ববর্তী দেশ প্রতি মুহূর্তে নাশকতার বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালাবে। তাদের ঔদ্ধত্য এমন পর্যায় গেছে তারা চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ বলে দাবি করবে বলেছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়ার অপপ্রচারের কঠোর সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, ভারতে যায় মানুষ চিকিৎসার জন্য, টুকটাক কেনাকাটার জন্য। এ কারণে যে একটি বড় দেশ বেড়ানোর সুযোগ থাকে।

‘আমরা একেবারে অবলম্বনহীন নই’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আমাদের দেশকে রক্ষা এবং যেকোন আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য আমরা বাংলাদেশের মানুষ সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে জানি। আকাশ, পাতাল, ভূমি, পানি প্রত্যেকটি জায়গায় আমাদের যে শক্তি, আমাদের সশ্বস্ত্র বাহিনীর যে শক্তি সেটাও কম নয়, ১৮ কোটি মানুষের শক্তি’।

যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বক্তব্য দেন।

পরে তিন সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী বারিধারা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে।