শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন এর বিশেষ সহকারী প্রফেসর এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষাকে মানসম্মত, যুগোপযোগী ও বিশ্বমানের করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি শিক্ষা ব্যবস্থায় বরাদ্দ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়ার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার স্বপ্নের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার স্বপ্ন হলো সকল শিক্ষার্থী নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। তিনি দেশের ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন যাতে তারা সেলফ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন সাধন করতে পারে।
প্রফেসর আমিনুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানা গেছে কম মেধাবীদের উঠিয়ে আনার জন্য অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন। শিক্ষকরা কম মেধাবীদের উঠিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়েছে।
শিশুদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরি করার জন্য স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের ভূমিকা নিতে হবে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের মাঝে মূল্যবোধ তৈরি করতে হবে। মূল্যবোধ পরিবার থেকে তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অনেক শিশুর মানসিকতায় মূল্যবোধ তৈরি হয়না। কারণ শিশুরা স্কুল ও মাদ্রাসায় বেশি সময় কাটায়। এখন থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে মূল্যবোধের উপর পাঠ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, লটারি সিস্টেম চালু হওয়াতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন সমন্বয়ের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। এতে ভালো ও মন্দের সমন্বয় হবে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের কর্মক্ষম করে তুলতে পারলে দেশে ও বিদেশে তাদের জন্য চাকরির ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে।
একসময় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ভালোদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনা ছিল। শুধু মেধাবীরাই ভালো স্কুলে পড়ার সুযোগ পেত। কম মেধাবীরা পেছনে পড়ে থাকত। কম মেধাবীদের পিছনে রাখা যাবে না, তাদেরকে উঠিয়ে আনতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কম মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে মনোযোগ ও স্কুলমুখী করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কাজ করে যাচ্ছে। এতে বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষাঙ্গনে বিশাল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।