বাসস
  ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৭
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৯

লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে নারী আন্দোলনের ‘চার্টার অব ডিমান্ড’

ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা এবং নারীর অধিকার প্রাপ্তির আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে এক আলোচনা সভায় ইউএন উইমেন’র সহযোগিতায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং বেসরকারি সংস্থা বহ্নিশিখার যৌথ উদ্যোগে তৈরি দাবিনামা (চার্টার অব ডিমান্ড) উন্মোচন করা হয়েছে।
 
আজ রোববার গুলশানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায়  স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন’র নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, বেসরকারি  সংস্থা ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী এবং সিপিডি বোর্ড অফ ট্রাস্টির সদস্য খুশি কবির, বিআইজিডির সিনিয়র ফেলো অফ প্র্যাকটিস মাহিন সুলতান, এবং ইউ এন উইমেন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার তপতী সাহা।

স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে নারী আন্দোলন এগিয়ে যাচ্ছে। তবে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মকে নারী আন্দোলনের সাথে কীভাবে যুক্ত করা যায় তা ভাবতে হবে। বৈশ্বিক ও জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নারী ইস্যূকে রাজনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকেরা কীভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন তাকে বিবেচনায় রাখাও জরুরি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও বহ্নিশিখা সকলকে নিয়ে নারীর সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করেছে। যেন তা মোকাবেলা করে আগামী দিনের নারী আন্দোলনকে আরও বেগবান করা যায়।’

বহ্নিশিখা পরিচালক সামিনা ইয়াসমিন বলেন, নারী আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে এই বিষয়গুলোতে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সুপারিশ উপস্থাপন হয়েছে।

ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের মেনে নেয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় সাম্য, সমদর্শিতাকে গুরুত্ব দিতে হবে, উন্নয়নে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দিতে হবে। সমতা প্রতিষ্ঠায় নারী-পুরুষ উভয়ই অংশীজন, তাই সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবারে সমতা প্রতিষ্ঠিত না হলে প্রকৃত সমতা আসবে না।’

সিপিডি বোর্ড অফ ট্রাস্টি সদস্য খুশি কবির বলেন, ‘ভূমি সংস্কার আইনের অধীনে খাস জমির মালিকানা নারীবান্ধব করতে হবে, ভূমি ইসূ্তে নারীর অভিগম্যতার দিকটিও নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন করতে হবে। গৃহ শ্রমিক, বিশেষত: নারী ও শিশুদের সুরক্ষাসহ, শ্রমিকদের জন্য সমান মজুরি নিশ্চিতের উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে ।’

সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক’র  ফাল্গুনী ত্রিপুরা, নারীপক্ষ’র  গীতা দাস, শক্তি ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি নিলুফা বেগম, বাদাবন সংঘের লিপি রহমান, অগ্নি ফাউন্ডেশন’র জারিন চৌধুরী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সদস্য নোভা আহমেদ, ‘সর্ম্পূণা’র সভাপতি জয়া শিকদার, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পরিবেশ সম্পাদক পারভীন ইসলাম, জাতীয় নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শাহিদা পারভীন শিখা, সাংগাত নেটওয়ার্ক’র ফওজিয়া খন্দকার ইভা, ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের এসি নাসরিনসহ আরও অনেকে।