শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস) : চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর এলাকায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি করা চকবাজার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিঠুন চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি ছিল বিদেশি পিস্তল। তবে, তাকে গ্রেপ্তার করা গেলেও ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
মিঠুন মূলত চকবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী নুর মোস্তফা টিনুর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবেই এলাকাজুড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতেন বলে পুলিশ জানায়।
আজ চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন। এরআগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেনী সদরের সুলতানপুর এলাকার একটি বাসা থেকে মিঠুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি চালায় মিঠুন। এ ধরনের একটি ভিডিও আমরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। ভিডিও দেখে আমরা তাকে শনাক্ত করি। গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য সে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। সে বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করছিল। আমাদের পাঁচলাইশ থানার একটি আভিযানিক দল দীর্ঘদিন তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করে আসছিল। সর্বশেষ ফেনীর সুলতানপুরে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মিঠুন সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর বিশ্বস্ত সহযোগী ছিল। এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে তাদের কাছে তথ্য আছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আজ (সোমবার) আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে জানিয়ে রইছ উদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিঠুন আমাদের কাছে স্বীকার করেছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমানোর জন্য সে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। আন্দোলনে ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য আমরা দ্রুত অভিযান পরিচালনা করব।’
অস্ত্রটি সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘সেটা একটি বিদেশি পিস্তল ছিল। পিস্তলটি তার নিজের নয় বলে সে আমাদের জানিয়েছে। অন্য আরেকজনের কাছ থেকে সে নিয়েছিল। পরে আবার ফেরত দিয়েছে। সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’