বাসস
  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৫

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু

ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আট মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের আড়ালে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) প্রকল্প বাস্তবায়নের আড়ালে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

আজ মঙ্গলবার আট প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

দুদকের উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম জানান, আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে এসব তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনস অথরিটি (বিইজেডএ) ও বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনস অথরিটি (বিইপিজেডএ) এর ৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের আড়ালে ২১ হাজার কোটি টাকা লোপাট ও আত্মসাৎ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তথ্য ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।’

এতে যেসব প্রকল্পের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো- মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল, মীরসরাই প্রথম পর্যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে ২টি মডার্ন ফায়ার স্টেশন স্থাপন প্রকল্প, মীরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর (বিএসএমএসএন) উন্নয়ন প্রকল্প।

এসব প্রকল্পের প্রস্তাব,প্রাক্কলন, অনুমোদিত প্রস্তাব, প্রাক্কলন, বাজেট অনুমোদন, বাজেট বরাদ্দ, অর্থ ছাড়করণ, ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ ও বিবরণ, প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা সংক্রান্ত তথ্যাদি সম্বলিত নথির নোটের অংশ ও পত্রের অংশের সংযুক্তিসহ রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি সরবরাহের কথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও প্রকল্পগুলোর কোনো পর্যবেক্ষণ বা তদন্ত হয়ে থাকলে তৎসংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের সত্যায়িত কপি এবং প্রকল্পগুলোর পৃথক সার-সংক্ষেপের কপি সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

গত রোববার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়।

১৭ ডিসেম্বর প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।