শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস) : দৃষ্টান্তমূলক কাজের মাধ্যমে পরবর্তী সরকারের জন্য দায়িত্ববোধের একটা জায়গা সৃষ্টি করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চান অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে স্থানীয় প্রশ্সান ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা পরবর্তী সরকারের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই। যেমন মেঠো পথের পরে হাইওয়ে হয়। বর্তমান সরকার যা করছে মানুষের আস্থা অর্জন করেই করছে। পরবর্তী সরকার যদি এই সরকারের ইতিবাচক কর্মকান্ডগুলো অনুসরণ না করে, তবে মানুষই বাধ্য করবে তা করার জন্য। বাংলাদেশের আকাশ আর মেঘাচ্ছন্ন থাকবে না, সবার জন্য সূর্যের মতো আলো ছড়াবে।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি না থাকলে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ অনেক উপরে চলে যেত। আশা করি বাংলাদেশ তার পথ হারাবে না, অবশ্যই লক্ষ্যে পৌঁছাবে। এজন্য সর্বস্তরে জবাবদিহিতার মানসিকতা রাখতে হবে। প্রকল্পে বাড়তি ব্যয় রাখার প্রবণতা পরিহার ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতিরোধ করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দেশের সব সরকারি দপ্তরকে তথ্য প্রযুক্তি খাতে গুরুত্ব দিতে হবে।’
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমঝোতা কঠিন, চাঁদাবাজির সমঝোতা সহজ। সেখানে চাঁদাবাজি প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় দব্য মূল্য আমরা সহনীয় ও মানুষের হাতের নাগালে রাখার চেষ্টা করে অনেকটুকু নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি ব্যবসা-বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করার। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার। এই লক্ষ্যে সব নিত্যপণ্যের কর প্রায় শূন্য করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।’
ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম ইস্যুতে সরকার সজাগ এবং সতর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আইনগতভাবে যা করা যায় সরকার তাই করবে। সরকার কারও ব্যবসায়িক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেনি। কেবল ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হচ্ছে। তবে যাচাই-বাছাই শেষে তা আবার খুলে দেওয়াও হচ্ছে।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়া উদ্দিন।