বাসস
  ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৯
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:০৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ রিয়াজের বাড়িতে নৌপরিবহন উপদেষ্টা

রোববার দুপুরে বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. রিয়াজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন নৌপরিবহন ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

বরিশাল, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. রিয়াজের বাড়িতে গিয়ে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

তিনি রোববার দুপুরে বরিশালের হিজলাতে বিআরডব্লিউটিপি-১ প্রকল্পের আওতায় প্রক্রিয়াধীন হিজলা ল্যান্ডিং স্টেশন/লঞ্চঘাট নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে শহিদ রিয়াজের গ্রামের বাড়িতে যান।

আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। 

এ সময় উপদেষ্টা নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তাদের সান্ত্বনা দেন ও পরিবারের হাতে নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। 

সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

উপদেষ্টা রিয়াজের কবর জিয়ারত করেন ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন।

এর আগে, শহিদ রিয়াজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে বরিশালের হিজলায় একটি লঞ্চঘাটের পন্টুন উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘোষের চর লঞ্চ ঘাটে ওই পন্টুন উদ্বোধন করেন তিনি।  

এ সময় বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক আরিফ উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী মহিদুল ইসলাম, বরিশাল নৌ-পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক ও হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শহিদ রিয়াজ বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাহমুদুল হকের ছেলে। তিনি বরিশাল মুলাদী ডিগ্রি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সক্রিয় কর্মী হিসেবে রিয়াজ ছিলেন সামনের সারিতে। 

গত ৪ আগস্ট ঢাকার জিগাতলা এলাকায় মিছিল করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সঙ্গে থাকা আন্দোলনকারীদের কয়েকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।